Skip to main content

Posts

Featured Post

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...
Recent posts

এক গরিব দুখিনী আর বাঘের গল্প: শিক্ষামূলক গল্প

এক গরিব দুখিনী আর বাঘের গল্প: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - রত্না নামে এক গরিব দুখিনী ছিল। সে ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে নিজের দাদুর কাছে বড় হতে লাগল। প্রথমে বেশ ভালোই চলছিল সব। যেদিন তার বড় মামার বিয়ে হলো। তার বড় মামী বাড়িতে আসতে না আসতেই শুরু হলো রত্নার উপর অমানসিক নির্যাতন। শত হলেও পরের মেয়ে। তাই রত্নাকে তার মামী অনেক কু-কথা বলতো, গালাগালি করতো। কাজ করলেও মারতো, না করলেও মারতো। অন্য কেউ কিছু বলতোও না। এভাবেই চলতে থাকলো কয়েকবছর। একদিন রত্নার মামী বিনা দোষে রত্নাকে খুব মারধর করছিল আর খন্তি গরম করে রত্নার পিঠে ছেকা দিলো। রত্নার কান্না আর চিতকার আর্তনাদ পুরো বাড়িতে শোনা গেল। কেউ একটু ধরতেও এলো না। ঐদিন ঐ বাড়ির পেছন দিয়ে যাচ্ছিল একটা বাঘ। বাঘটা রত্নার এই আর্তনাদ শুনে খুব মায়া হলো রত্নার জন্য। সেই বাঘটা রত্নাকে চুপি চুপি ডাকলো। রত্না তো প্রথমে ভয়েই যেতে চায় না। পরে ঐ বাঘ রত্নাকে বললো, ভয় পেয়ো না রত্না। আমি তোমার উপকার করতে এসেছি। তখন বিশ্বাস করে রত্না ঐ বাঘের কাছে গেল। তখন ঐ বাঘটা একটা দেবতার রূপ ধরে রত্নার সামনে দাঁড়াল। রত্না নিজের চোখকেই...

বরফ টুকরো আর কৃষকের ছেলে: শিক্ষামূলক গল্প

বরফ টুকরো আর কৃষকের ছেলে: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - একদিন এক কৃষক ছেলে খুব কড়া রোদের মধ্যে তার জমিতে ধান কাটছিল। খুব রোদে গরমে তার খুব ঘাম ঝরছিল।ধান কাটতে কাটতে তার খুব পানির তেষ্টা পেল। সে আগে থেকেই একটা জগে করে কিছু পানি আর মুড়ি এনে রাখলো খাওয়ার জন্য। আর সে পাড়ে এসে একটু পানি খেল। পানি খেয়ে সে একটা গাছের ছায়ায় একটু বিশ্রাম নিতে গেল। এমন সময় হঠাৎ অনেক জোড়ে তুফান বৃষ্টি শুরু হলো। তার সাথে কোনো ছাতা ছিল না। তাই গাছের তলায় বসে সে ভিজতে লাগল। আর অবাক হয়ে দেখতে লাগল কি বিশাল বিশাল বৃষ্টির ফোটাগুলো। গায়ে পড়লেই কুপোকাত। অনেক বড় বড় বৃষ্টির ফোটাগুলো। সাথে আবার শিলা বৃষ্টিও হচ্ছে। শিলা মানে হলো বৃষ্টির সাথে বরফ পড়ছে। একটু পর অনেকগুলো বরফ পড়তে লাগল বৃষ্টির সাথে। শিলা বরফগুলো একটু বড় বড়।ওদিকে বৃষ্টি হচ্ছে খুব জোড়ে। সে খেয়াল করল অনেকগুলো বরফ কণার মাঝে একটা বরফ কণা খুব বড়। এই প্রায় একটা আপেলের মতো বড়। সে একটু অবাক হয়ে গেল। তারপর সেই অদ্ভুত বড় বরফ টুকরাটা হাতে নিয়ে দেখল। সে যেমনি দুষ্টামি করে বরফ টুকরাটা মুখে দিল। একটু খাওয়ার পর হঠাৎ করে ভিতর...

দুধওয়ালা ও সুদখোর যদু: লোভের পরিণাম: শিক্ষামূলক গল্প

দুধওয়ালা ও সুদখোর যদু: লোভের পরিণাম: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - গোহাটির হাসানপুর গ্রামে যদু নামে এক কৃপণ, লোভী আর সুদখোর ব্যক্তি ছিল। সে সারাক্ষণ চাইত তার টাকাগুলো যেন একদিনেই হাজার গুণ বেড়ে যায়। খুব লোভী ছিল সে। গায়ে সবাই তাকে পিছে পিছে সুদখোর বলে ডাকতো। একদম বিপদে না পড়লে কেউ তার কাছ থেকে ঋণ নিত না। একদিন এক গরিব দুধওয়ালা খুব বিপদে পড়েই শেষে বাধ্য হয়ে ঐ যদুর কাছে গেল ঋণের জন্য। দুধওয়ালাটা একদম অসহায় ছিল। তার একটা মাত্র গরু ছিল। তাও গতকাল রাতে চোরেরা নিয়ে গেল। তাই সে একদম নিরুপায় হয়ে সুদখোর যদুর কাছে গেল 1000 টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য। তখনকার সময় 1000 টাকা মানে এখনকার 1 লাখ টাকার সমান। তো যদু তো মহাখুশি। মনে মনে ভাবলো পেয়েছি এবার। এই 1 হাজার টাকা সে 2-3 মাসের মধ্যেই 5 হাজার করে নিবে এই দুধওয়ালাকে দিয়ে। তখন যদু বলে উঠলো। তোমাকে 1 হাজার টাকা দিতে পারি বাপু। তবে মাসে মাসে 300 টাকা করে লাভ দিতে হবে। যদু তখন খুব অসহায় ছিল। নেহাত টাকাটা তার ভীষণ দরকার ছিল। তাই সে আগা মাথা চিন্তা না করে যদুর কথায় রাজি হয়ে গেল। দুধওয়ালা ভাবলো এই টাকা দিয়ে সে 4-5...

ড্রাই আইস কী?

ড্রাই আইস আকর্ষ ণ  সৃষ্টির জন্যে বিভিন্ন সময় গানের স্টেজে অথবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় কুয়াশার মত ধোঁয়া দেখতে পাই আমরা। এটা আসলে ড্রাই আইস বা শুষ্ক বরফ নামেই পরিচিত। তার মানে কি এটা কঠিন পানি? কিন্তু পানি কঠিন হলে কি সেটা ধোঁয়ার মত উড়বে? ড্রাই আইস প্রথমে ড্রাই আইস কি সেটা বলি। সহজে বললে, শুষ্ক কার্বন-ডাই-অক্সাইডের কঠিন রূপকেই ড্রাই আইস বলে। অনেক কম তাপমাত্রায় এবং কম চাপে (−56.4 °C তাপমাত্রা এবং 5.13 atm চাপে) গ্যাসীয় কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে রেখে দিলে সেটি তরলে রূপান্তরিত না হয়ে সরাসরি কঠিন পদার্থের আকার ধারণ করে। এই কঠিন পদার্থটিই আসলে ড্রাই আইস বলে আমরা জানি। তাহলে এই কঠিন পদার্থটি আবার ধোঁয়ার মতই উড়বে কিভাবে? আসলে ড্রাই আইসকে যখন উষ্ণ ও গরম পানির সংস্পর্শে আনা হয়, তখন মেঘের মত দেখতে শুভ্র ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এই সাদা ধোঁয়াটি কিন্তু কার্বন-ডাই-অক্সাইড নয়, অধিক ঘনমাত্রার পানির বাষ্পের সাথে মিশ্রিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড। ব্যাপার হচ্ছে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার ফলে গরম পানির বাষ্প ঘনীভূত হয়ে এমন আকার ধারণ করে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাহিত এই কুয়াশাটা অনেক ভারী হয়, তা...

সানস্ক্রিন কিভাবে সূর্যের আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করে ?

সানস্ক্রিনঃ মানুষ সুন্দরের পূজারী। কম বেশি আমরা সবাই রূপ সচেতন। ত্বকের যত্নে মানুষ অনেক রূপচর্চাও করে থাকে। আর এই ত্বকের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক হল সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা পাবার একটি উপায় হল  সানস্ক্রিন(sunscreen)  অথবা sunblock ব্যবহার করা। বিশেষ করে শীতকালে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে  সানস্ক্রিন  অথবা sunblock এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়। কিন্তু এই sunscreen বা sunblock ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর আলোকরশ্মি থেকে রক্ষা করে কিভাবে? সানস্ক্রিন এই sunscreen ও sunblock শুনতে একই ধরণের মনে হলেও এবং এদের কাজের ধরণ একইরকম হলেও, এদের কাজ করার পদ্ধতিতে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা।  সানস্ক্রিন  জৈব এবং অজৈব রাসায়নিক পদার্থে তৈরি, যা ত্বকের উপর প্রলেপ সৃষ্টি করে। এ কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারেনা। অন্যদিকে,  sunblock  অতিবেগুনি রশ্মিকে ত্বক থেকে প্রতিফলিত করে, যার ফলে এই রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে অক্ষম। কারণ,প্রতিফলনের ফলে এটি ত্বক পর্যন্ত পৌছাতেই পা...

কৃত্রিম বৃষ্টি

কৃত্রিম বৃষ্টি বৃষ্টির  উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা । প্রচণ্ড গরমে এক পশলা বৃষ্টি স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দেয় ।আবার ফসল ফলানোর জন্য হাহাকার উঠে কৃষকের মনে বৃষ্টির জন্য । কেমন হয় যদি কৃত্রিমভাবে করা যায় বৃষ্টিপাত । ঠিক এই কথাই প্রথম ভেবেছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানী ভিনসেন্ট শায়েফার। তিনি বাতাসের জলীয় বাষ্পকে জমাট বাঁধিয়ে মেঘ বানাতে ব্যবহার করেছিলেন জমাট বাঁধা কার্বন ডাই অক্সাইডের টুকরা (ড্রাই আইস: Dry Ice)। তিনি বার্কশায়ার পাহাড়ের কাছে ড্রাই আইস ছুঁড়ে দিয়ে তুলোর মতো মেঘ বানাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই তাঁকেই কৃত্রিম মেঘের জনক বলা হয়ে থাকে। সূর্যের তাপে বিভিন্ন পুকুর, নদী, সাগরের পানি জলীয়বাষ্পে পরিনত হয় । সেই জলীয় বাষ্প হালকা হওয়ার কারণে উপরে উঠে গিয়ে বাতাসের ধূলিকণা, বালুর কণা ইত্যাদির সহায়তায় জমাটবদ্ধ হয়ে তৈরি করে মেঘ। এভাবে মেঘের আকৃতি বড় হতে হতে যখন ভারি হয়ে যায়, তখন হয় বৃষ্টি। এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াটিকে মানবনিয়ন্ত্রীত পন্থায় করাকেই বলা হচ্ছে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত। কৃত্রিম বৃষ্টিপাতে, কখনও পুরো প্রক্রিয়াটি, কখনও তার আংশিক (জলীয় বাষ্পকে মেঘে রূপান্তর) নিয়ন্ত্র...