ড্রাই আইস
ড্রাই আইস
প্রথমে ড্রাই আইস কি সেটা বলি। সহজে বললে, শুষ্ক কার্বন-ডাই-অক্সাইডের কঠিন রূপকেই ড্রাই আইস বলে। অনেক কম তাপমাত্রায় এবং কম চাপে (−56.4 °C তাপমাত্রা এবং 5.13 atm চাপে) গ্যাসীয় কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে রেখে দিলে সেটি তরলে রূপান্তরিত না হয়ে সরাসরি কঠিন পদার্থের আকার ধারণ করে। এই কঠিন পদার্থটিই আসলে ড্রাই আইস বলে আমরা জানি।
তাহলে এই কঠিন পদার্থটি আবার ধোঁয়ার মতই উড়বে কিভাবে?
আসলে ড্রাই আইসকে যখন উষ্ণ ও গরম পানির সংস্পর্শে আনা হয়, তখন মেঘের মত দেখতে শুভ্র ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এই সাদা ধোঁয়াটি কিন্তু কার্বন-ডাই-অক্সাইড নয়, অধিক ঘনমাত্রার পানির বাষ্পের সাথে মিশ্রিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড। ব্যাপার হচ্ছে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার ফলে গরম পানির বাষ্প ঘনীভূত হয়ে এমন আকার ধারণ করে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাহিত এই কুয়াশাটা অনেক ভারী হয়, তাই এটি পাত্রের নিচে জমা হয়, তাই দেখা যায় এটি ফ্লোর ঘেঁষে ঘেঁষে উড়ছে।
এই ড্রাই আইস আমাদের নিত্যদিনের জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা তা জানিনা! রোডে যেসব গাড়িতে করে আইসক্রিম বিক্রি করা হয়, সেখানেও সংরক্ষণের জন্য কিন্তু ড্রাই আইস ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এই ড্রাই আইস হিমাগারে জিনিসপত্র সংরক্ষণে এবং জাহাজে করে দূরে পচনশীল পণ্য প্রেরণ করতে ব্যবহৃত হয়।
তবে ভুলেও খালি হাতে ড্রাই আইস হাতে নিতে যাবেন না। কেননা এটি এতই ঠাণ্ডা যে এর ফলে চামড়ার অনেক ক্ষতি হবে।
Comments
Post a Comment