Skip to main content

মোবাইল ফোনের টাওয়ার এবং কলিং সিস্টেম

মোবাইল ফোনের টাওয়ার এবং কলিং সিস্টেম

আমরা সবাই মোবাইল ব্যবহার করলেও এটি কিভাবে কাজ করে, ফোন কিভাবে আমরা করতে পারি, এসব সম্পর্কে আমরা কয়জনই বা জানি? আমিও নিজেও খুব একটা জানিনা।
তবে যা জানি তার থেকে কয়েকটি কথা শেয়ার করি। যাতে সবাই কিছুটা জানতে পারি। টেকনিক্যাল টার্ম থাকুক, এমনিতেই বলি।
আমাদের আশে পাশে অনেক মোবাইল টাওয়ার দেখি আমরা। আমরা যেখানেই থাকিনা কেন আমরা কোন না কোন টাওয়ারের আয়ত্ত্বে থাকি। যে কোন একটি টাওয়ারের আয়ত্ত্বে থাকি আমরা, কখনোই একইসাথে ২টা বা এর অধিক টাওয়ারের আয়ত্ত্বে নয়। আমরা যে টাওয়ারের আয়ত্ত্বে থাকি সে টাওয়ারে আমাদের ফোন নাম্বার লিপিবদ্ধ থাকে, যা ওই টাওয়ার একটি সাব-ডিবিশান টাওয়ারকে জানিয়ে দেয়। অনেকগুলো টাওয়ার একটি সাব-ডিবিশান টাওয়ারের আয়ত্ত্বে থাকে। এটি কোন জেলা নিয়ে হতে পারে, আবার আরও ছোট এলাকা কিংবা বড় এলাকা নিয়েও হতে পারে। প্রধানত ব্যবহারকারীর উপর ভিত্তি করে এটি ঠিক করা হয়।
মোবাইল নেটওয়ার্ক
আবার সব সাব-ডিবিশান টাওয়ারও একটি প্রধান টাওয়ার কিংবা কোন একটি ট্রান্সমিশন কেন্দ্রের আয়ত্ত্বে থাকে।
আপনি যখন ফোন করতে যান আপনার কলটি প্রথমে আপনার টাওয়ারে যায়, সেখান থেকে প্রধান কেন্দ্রে চলে যায়। কেন্দ্রে সে খুঁজে বের করে আপনার কাঙ্ক্ষিত ফোন নাম্বারটি কোন টাওয়ার এবং সাব-ডিবিশানে আছে। এর পর সে সাব-ডিবিশানে যায় এবং ওখান থেকে টাওয়ার হয়ে ওই ফোন নাম্বার কিংবা মোবাইলে কলটি যায়। ব্যাপারটি এত দ্রুত হয় যে আমরা বুঝতেও পারিনা।
এখন ব্যাপার হল যে, আমরা তো আর এক যায়গায় বসে থাকিনা। নানা দিকে যাই। গাড়িতে চড়ি। দেখা যায় যে কথা বলতে বলতে আমি এক টাওয়ার থেকে আর এক টাওয়ারে চলে গেলাম। এইক্ষেত্রে তো ফোন কেটে যাওয়ার কথা তাইনা? আগে কেটে যেত। কিন্তু এখন আর যায়না। কারণ বতর্মানে প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে। আমাদের মোবাইল তার নিকটবর্তী সকল টাওয়ারে সিগনাল পাঠায়। তার সবচেয়ে কাছের যে টাওয়ার তাতে সে লিপিবদ্ধ হয় অর্থাৎ তার আয়ত্ত্বে থাকে সে। তাই আর সমস্যা হয়না।
আজ আর না, অনেক হইছে। বড় নোট কেউ পড়েনা। আপনারা কিছুটা বুঝলেই আমি সার্থক। সবাই বোঝার জন্য আমি টেকনিক্যাল কথাগুলো এড়িয়ে গিয়েছি, সহজ করে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।
এ সম্পর্কে আপনার কিছু বলার থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখুন :

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...