Skip to main content

RSS Feed কী?


আর.এস.এস (RSS Feed)? সেটা আবার কি!



উপরের এই ছবিটার সাথে আমরা কম-বেশি সবাই পরিচিত। আমরা বিভিন্ন সাইটে যখন ভিজিট করি, তখন অনেক সাইটেই এই ছবির মত একটা আইকন দেখি। সেটায় লেখা থাকে RSS Feed অথবা Atom । কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে, এই আর.এস.এস ফিড বা এটম এর কাজটা কি? যদি প্রশ্নটি মনে জেগে থাকে এবং আপনি এ সম্পর্কে অবগত না থাকেন, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য!
আর.এস.এস.(RSS) কিকেন ?
ধরুন, আপনি কিছু সাইট নিয়মিত ভিজিট করেন এবং ঐ সাইটের গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো বা আপডেটগুলো পড়েন। হতে পারে আপনি কোন নিউজ সাইটের সংবাদগুলো সাইটে ঢুকে পড়েন। আবার অনেকগুলো  ব্লগ সাইটেও রেগুলার ভিজিট করেন এবং ঐসব ব্লগের পোস্ট পড়েন। দেখা যায়, এই রকম ১০টা সাইট আপনার রেগুলার দেখা লাগে, আর অন্য ১০টা সাইটের শুধু আপডেট জানতে পারলেই হয়। নিশ্চয় অনেক সময় ব্যয় করা লাগে আপডেটেড থাকার জন্য। কিন্তু যদি এমন হয়, আপনি একটা সাইট বা একটা সফটওয়্যার দিয়েই এই ২০টা সাইটের আপডেট একসাথে জানতে পারবেন বা নিউজের হেড লাইন পেয়ে যাবেন কিংবা ফোরামের লেটেস্ট পোস্টগুলোর টাইটেল এবং সেই সাথে কিছু ভুমিকা পেয়ে যাচ্ছেন তাহলে সেটা অনেক মজার হবে না ? যে পোস্ট বা নিউজটা টাইটেল দেখে গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো সেইটা ঐ সাইটে ঢুকে পড়লেন। ঠিক এই কাজটা সহজ ভাবে করার জন্যই আর.এস.এস. এর উদ্ভব।
RSS এর অনেকগুলো পূর্ণ অর্থ আছে যেমন Really Simple Syndication বা Rich Site Summary। সিন্ডিকেটিং এর অর্থটা এমন যে, কোন তথ্য নতুন করে কোথাও পাবলিশ করা (হতে পারে কোন সাইটে বা কোন কোন ডেক্সটপ সফটওয়্যারে), যা অন্য কোন সোর্স (হতে পারে এটা অন্য একটা ওয়েব সাইট) হতে আসছে। অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে ধরে নিতে পারি কোন সাইটের তথ্য অন্য সাইটে বা অন্য কোথাও প্রদর্শন করার একটা সহজ একটা মাধ্যম হল আর.এস.এস। এই আরএসএস স্ট্যান্ডার্ড XML এর মাধ্যমে আপডেট দিয়ে থাকে।
কিভাবে অন্য অনেকগুলো সাইটের আর.এস.এসলিঙ্ক থেকে আপডেটগুলো এক জায়গায় দেখতে পারবো?
কোন আর.এস.এস. লিঙ্ককে বলা হয় ফীডার বা ফীড। আর এই লিঙ্ক থেকে তথ্যগুলো বের করাকে বলা হয় ফীড রিড বা ফীড় পড়া; আর সেই কাজটা যে করে তাকে বলা হয় ফীড রিডার বা আর.এস.এস. রিডার।
এখনকার ব্রাউজারগুলোতেও আর.এস.এস ফিড পড়ার ব্যবস্থা আছে।যেমন, মজিলা ফায়ারফক্সে লাইভ বুকমার্কের মাধ্যমে আপনি আপনার সেইভ করা বুকমার্ক থেকে ওই ওয়েবসাইট বা ব্লগের আপডেটেট পোস্টগুলোর টাইটেল জানতে পারবেন। এছাড়া হাতের কাছে ওয়েব বেসড ফ্রি যে আর.এস.এস. রিডার আছে তা হলো গুগল রিডার। গুগল রিডার এর ঠিকানাঃ http://www.google.com/reader । এর জন্য আপনার লাগবে একটি গুগল একাউন্ট বা জিমেইল একাউন্ট। শুধু মাত্র রিডারে জিমেইল একাউন্ট দিয়ে কোন সাইটের আর.এস.এস. লিঙ্কটা এড করুন বা সাবস্ক্রাইব করুন। দেখবেন সাথে সাথে ঐ সাইটের লেটেস্ট আপডেট আপনাকে পড়ে দেখাবে। এখন আপনি যে কোন সময় গুগল রিডারে ঢুকে ঐ সাইটের লেটেস্ট আপডেটগুলো জানতে পারবেন। এছাড়া এরকম আরও অনেক আর.এস.এস রিডার আছে, গুগলে সার্চ করলেই এমন অনেক আর.এস.এস. রিডার খুঁজে পাবেন।
ফেসবুকে এতদিন বিভিন্ন সাইটের আর.এস.এস. পড়ার সুবিধা থাকলেও কিছুদিন আগে তারা এই ফিচারটি বন্ধ করে দিয়েছে।
আপনি চাইলে এই আর.এস.এস ফীডের মাধ্যমে আপনার নিজস্ব সাইটে অন্যান্য বিভিন্ন সাইটের আপডেট দেখাতে পারবেন। আপনার যদি নিজস্ব হোস্টিংয়ে  ওয়ার্ডপ্রেস CMS ইন্সটল করা থাকে কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসে হোস্টেড একাউন্ট থাকে, তাহলে দেখবেন widget হিসাবে সেখানে আর.এস.এস. রিডার প্লাগিন আছে, যা দিয়ে আপনি আপনার ব্লগে অনেকগুলো সাইটের আপডেট দেখাতে পারেন rss widget ব্যবহার করে।
লেখাটি নিয়ে আপনার মতামত কী?

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...