Skip to main content

পৃথিবীর সবচাইতে রহস্যময় ও ব্যাখ্যাহীন যত ঘটনা (পর্ব-1)

পৃথিবীর সবচাইতে রহস্যময় ও ব্যাখ্যাহীন যত ঘটনা! (পর্ব- 1)

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

লন্ডনের রাস্তায় একের পর এক নারী মারা যেতে থাকে সেসময়।  বিশেষ করে পতিতাদের ওপরই আক্রোশটা বেশি ছিল খুনীর। কিন্তু কে করছে খুনগুলো? একের পর এক খুন হওয়া নারীদের কাছ থেকে কোন সূত্র উদ্ধার করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ে পুলিশ। আর এমন সময়েই পুলিশের কাছে আসে এক রহস্যজনক চিঠি -------
এমনই আরও 4টি ঘটনা নিয়ে সাজানো হলো আমাদের প্রথম পর্ব।
1. ভিনগ্রহের সংকেত :
কত শত দিন ধরেইতো মানুষ অপেক্ষা করে আছে অন্য কোন গ্রহে নতুন কোন প্রাণের সন্ধানের, নতুন কোন গ্রহের, নতুন কোন জীবনের- সবাই ধারণা করছে, যদিও বা ভিনগ্রহে কোন প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা হবে দেখতে ঠিক আমাদেরই মত। বুদ্ধিতে, জ্ঞানে হবে আমাদের থেকেও উন্নত। যাই হোক না কেন, এখনো পর্যন্ত পৃথিবীর বাইরে এমন কোন প্রাণের অস্তিত্ব এখনও পাওয়া যায়নি, তবুও মানুষ চালিয়ে যাচ্ছে চেষ্টা, নতুন কোন প্রজাতির মানুষের দেখা মেলে কিনা অন্য কোন গ্রহে!! নিজেদের প্রযুক্তিকে উন্নত থেকে উন্নত করেও অনেক অনেক সংকেত পাঠালেও তার উত্তর ফিরে আসেনি। কিন্তু এর ব্যতিক্রমটাই ঘটে 1977 সালে। জেরি আর, এহমার ওহিয়োর বিগ এয়ার রেডিও টেলিস্কোপে কাজ করছিলেন তখন। হঠাৎ করেই অদ্ভূত কোন সংকেত পান তিনি। তাও মহাকাশ থেকে আসা কোন সংকেত। স্তম্ভিত আর অবাক জেরি 72 সেকেন্ডের সেই সংকেতটি পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি কাগজে লিখে রাখেন। তবে সেটাই নয়, চেষ্টা করেন পাল্টা সংকেত পাঠানোর। পরবর্তীতে হঠাৎ সংকেত আসার সেই জায়গা বরাবর অনেক অনেক বার্তা আর সংকেত পাঠানো হয়েছে। তবে কোন উত্তর মেলে নি।
2. গুপ্ত হত্যাকারী :
লন্ডনের রাস্তায় একের পর এক নারী মারা যেতে থাকে সেসময়।  বিশেষ করে পতিতাদের ওপরই আক্রোশটা বেশি ছিল খুনীর। কিন্তু কে করছে খুনগুলো? একের পর এক খুন হওয়া নারীদের কাছ থেকে কোন সূত্র উদ্ধার করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ে পুলিশ। আর এমন সময়েই পুলিশের কাছে আসে এক রহস্যজনক চিঠি। চিঠিতে জ্যাক রিপার নামক এক ব্যক্তি নিজের খুনের দায় স্বীকার করে এবং পুলিশকে ঠাট্টা করে নানারকম কথা লেখে। নারীদের যে ভবিষ্যতেও খুন করে যাবে সে, এবং কীভাবে খুন করবে সব লেখা ছিল চিঠিতে। তবে তারপর থেকেও আরও অনেক খুন জ্যাক রিপারের নামে হলেও আজ অবদি এই খুনীকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এমনকি আসলেও এই নামে কেউ আছে কিনা, নাকি ছদ্মনাম পরিচয় ব্যবহার করেই কেউ একজন খেলা করে যাচ্ছে নারীদের সাথে এমনকি পুলিশের সাথেও। সে যেন এক খুন খুন খেলা। 
3. বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল :
মানব সভ্যতার কতইতো উন্নতি হলো। কত-শত প্রযুক্তি, কত বিজ্ঞান, কত রকমের রহস্য উদঘাটন হল, এমনকি মহাবিশ্বের এপার-ওপারে কী আছে, কী নেই, প্রায় মোটামোটি সবই উদঘাটিত হচ্ছে বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যানে। তবে সেসবের চাইতে পুরোপুরি আলাদা এই রহস্যটি। মায়ামি, বারমুডা ও পুয়ের্তো রিকোর মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা বারমুডা ট্রায়াংগাল নামক স্থানটি এখন অবদি পৃথিবীর সব মানুষের কাছেই রয়ে গেছে অসামান্য এক রহস্য হিসেবে। এর উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় উড়োজাহাজের যন্ত্রপাতিতে সমস্যা দেখা দেয়।এখানে এসে হারিয়ে গেছে অনেক অনেক জাহাজ। কিন্তু কেন? কী সেই রহস্য? অনেকে দোষ চাপিয়েছেন, এগুলো এলিয়েন এর কাজ। এলিয়েনরা নাকি তাদেরকে গায়েব করে দিয়ে সেই এলিয়েনদের ্গ্রহে নিয়ে গেছে। এ কথার কি আদৌ কোন যুক্তি আছে? তবে এই রহস্যটা এখনো রহস্যই রয়ে গেছে। 
4. জোডিয়াক লেটারস :
1960-70 এর দিকে একদল অপরাধীকে পাওয়া যায়, যারা সান ফ্রান্সিসকোর আশেপাশেই তাদের কার্যক্রম চালাতো। কিন্তু এত নাম থাকতে তাদের নাম জোডিয়াক কেন? কারণ আর কিছু না, ধাঁধার প্রতি তাদের ভালোবাসা। পুলিশ অফিসারদের নিয়ম করে কিছু চিঠি পাঠাতো তারা। সেগুলো থেকে কোন ক্লু (Clue) বের করা ছিল প্রায় দু:সাধ্য। তিনটি চিঠির মানে অনেক চেষ্টা করে বের করা হয়েছিল। তবে সেগুলোর কোন মানেই ছিল না। কিংবা কে জানে, হয়তো সেই অর্থটা চিঠির আসল অর্থ ছিলই না। তবে যাই হোক, এখনো অবদি চিঠিগুলোর কোন মানেই পাওয়া যায়নি। অজানাই রয়ে গেছে চিঠিগুলোর মানে। 

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...