Skip to main content

বিশ্বের সব চেয়ে দামী ১০ মোবাইল ফোন

বিশ্বের সবচেয়ে দামী 10 মোবাইল ফোন

১০. ভার্তু সিগনেচার ডায়মন্ড



মূলত ভার্তু কোম্পানি দামী মোবাইল ফোন তৈরির জন্য বিখ্যাত। প্লাটিনাম দিয়ে তৈরি ভার্তু সিগনেচার ডায়মন্ড ফোনটি পুরোপুরি হাতে অ্যাসেম্বল করা হয়েছে। ফোনটির ডিজাইনে ২০০ টি হিরা বসানো রয়েছে। ভার্তু সিগনেচার ডায়মন্ড ফোনটি মাত্র দাম ৮৮ হাজার মার্কিন ডলার।

৯. আইফোন প্রিন্সেস প্লাস


অস্ট্রিয়ার প্রখ্যাত ডিজাইনার পিটার অ্যালোয়জঁ সোনায় মোড়ানো এই আইফোন প্রিন্সেস প্লাস ফোনটির ডিজাইন করেন। সোনা ছাড়াও এই ফোনটিতে ১৮০ টি হিরা বিশেষ প্রক্রিয়ার বসানো রয়েছে। এই ফোনটির কিনতে মাত্র ১ লক্ষ ৭৬ হাজার মার্কিন ডলার গুনতে হবে।

৮. ব্ল্যাকডায়মন্ড ভিআইপিএন স্মার্টফোন


সোনি এরিক্সন ব্র্যান্ডের এই ফোনটি ডিজাই করেন জারেন গোহ। এতে ব্যবহার করা হয়েছে অর্গ্যানিক এলইডি স্ক্রিন, মিরর ডিটেইলিং এবং পলিকারবোনেট মিরর। ব্ল্যাকডায়মন্ড ভিআইপিএন স্মার্টফোনের সামনে ও পেছনে দুইটি বড় হিরে বসানো হয়েছে। ফোনটির দাম রাখা হয়েছে ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার।

৭. ভার্তু সিগনেচার কোবরা


ফোনটির নামের সাথে ডিজাইনের মিল রেখেছেন প্রখ্যাত ফরাসী ডিজাইনার রত্নালঙ্কার বখেরোঁ। সাপের দুই চোখে পান্না ব্যবহার করা হয়েছে এছাড়া ৪৩৮টি চুনি দিয়ে মোড়ানো রয়েছে ভার্তু সিগনেচার কোবরা। মাত্র ৩ লক্ষ ১০ হাজার মার্কিন ডলার লাগবে এই ফোনটি কিনতে!

৬. গ্রেসো লাক্সোর লাস ভেগাস জ্যাকপট


২০০৫ সালে সুইজারল্যান্ডে তৈরি ফোনটি মোড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮০ গ্রাম স্বর্ণ। আর এর পেছনের কভারটি আফ্রিকান ব্ল্যাকউড দিয়ে তৈরি, যার কাঠ পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী এবং ২০০ বছরের পুরাতন হয়ে থাকে। এছাড়াও ফোনের বোতামে নীলকান্ত মণি বসানো রয়েছে। গ্রেসো লাক্সোর লাস ভেগাস জ্যাকপট ফোনটি নিজের করে নিতে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে।

৫. ডায়মন্ড ক্রিপ্টো স্মার্টফোন


উইন্ডোজ সিই টেকনোলজিতে দশটি দুষ্পাপ্য নীল হিরা দিয়ে তৈরি ডায়মন্ড ক্রিপ্টো স্মার্টফোনের ডিজাইন করেছেন পিটার অ্যালয়জোঁ। ফোনটিতে সর্বমোট ৫০ টি হিরে রয়েছে। ফোনটি অপহরণ এবং প্রযুক্তিগত ব্ল্যাকমেইল থেকে সুরক্ষিত। আর চমৎকার ফোনটির দাম ১৩ লক্ষ মার্কিন ডলার।

৪. গোল্ডভিশ লে মিলিয়ন


বিখ্যাত ডিজাইনার ইমানুয়েল গেট গোল্ডভিশ লে মিলিয়নের ডিজাইন করেন। ২০০৬ সালে ফ্রান্সে ফোনটি রেকর্ড পরিমাণ অর্থে বিক্রি হওয়ায় গিনিজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নেয়। ১৮ ক্যারেটের সাদা এবং ২০ ক্যারেটের VVS1হিরায় মোড়ানো ফোনটির দাম তেরো লক্ষ মার্কিন ডলারের বেশি।

৩. আইফোন ত্রিজি কিংস বাটন


অস্ট্রিয়ার পিটার অ্যালয়জোঁ এর ডিজাইনে আইফোন ত্রিজি কিংস বাটন ফোনে ১৩৮ টি হিরের ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটির মূল্য রাখা হয়েছে ২৪ লক্ষ মার্কিন ডলার।

২. সুপ্রিম গোল্ড স্ট্রাইকার আইফোন ত্রিজি ৩২জিবি


২৭১ গ্রাম ওজনের সুপ্রিম গোল্ড স্ট্রাইকার আইফোন ত্রিজি ৩২জিবি ফোনের কেসটি ২২ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। হোম বোতামে ৭.১ ক্যারেটের ১টি হিরা ছাড়াও ফোনটির পর্দার চারপাশে ১ ক্যারেটের ৫৩ টি হিরে বসানো রয়েছে। ফোনটিতে কাশ্মীর গোল্ডের সাথে নুবাক-টপ গ্রেইন লেদারের আবরণ রয়েছে যা ফোনটিকে করেছে অনেক মজবুত। এছাড়া এই ফোনটি অ্যাপেল লোগোটিও হিরা দিয়ে তৈরি। ফোনটির দাম রাখা হয়েছে ৩২ লক্ষ মার্কিন ডলার!

১. ডায়মন্ড রোজ আইফোন ৪ ৩২জিবি


সবচেয়ে দামি ফোনের তালিকার এক নম্বরে থাকা ফোনটির ডিজাইনার স্টুয়ার্ট হিউজ। ডায়মন্ড রোজ আইফোন ৪ ৩২জিবি ফোনে ১০০ ক্যারেটের গোলাপি ও সাদা রঙয়ের ৫০০টি হিরে বসানো রয়েছে। এছাড়া অ্যাপেলের লোগোতে আলাদা ৫৩টি হিরা বসানো হয়েছে। আর ন্যাভিগেশন বাটনটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে প্লাটিনাম এবং ৮ ও ৭.৪ ক্যারেটের গোলাপি হিরে। পৃথিবীর সবচেয়ে দামী এই ফোনের জন্য আপনাকে গুনতে হবে মাত্র ৮০ লক্ষ মার্কিন ডলার!
শেয়ার করুন সবার সাথেঃ

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...