Skip to main content

ভবিষ্যত প্রযুক্তি

ভবিষ্যত প্রযুক্তি

কালি মোছার প্রিন্টার
 কালি মোছার প্রিন্টার
কাগজে ছাপার কালিতে ভুল পেলে তা শোধরাতে আমরা বিশেষ ফ্লুইড ব্যবহার করি সাধারণত। কিন্তু তাতে করে কাগজের ওপরে বেশ একটা স্তর পড়ে যায় সাদা রঙের। সেই কারণেই হয়তো ডিজাইনার Kim Su Yeon ডেভেলপ করতে চেয়েছেন এমন এক প্রিন্টার যা কাগজে থেকে নিখুঁতভাবে ছাপার কালি মুছে ফেলবে!! ভুল লেখা প্রিন্ট হলেও সমস্যা নেই,সম্পূর্ণ কালি মুছে আবার নতুন করে প্রিন্ট নিন। বিষয়টা কেমন অস্বাভাবিক না? হ্যাঁ, বিষয়টা এমনই যে এটি সাদা কাগজকে তার পূর্বের রূপে ফিরিয়ে দেবে। এতে করে কাগজকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা যাবে আর কি! তবে এটা শুধু সম্পূর্ণ কাগজকে সাদা করতে পারবে, কাগজের নির্দিষ্ট কোন অংশের কালি দূর করতে হলে হয়তো আরো নতুন কিছুর অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।
)পাঁচ আঙুলের মাউস
জাপানীজ কোম্পানী Double Research & Development Co. এক নতুন ধরনের ইনপুট ডিভাইস নির্মাণ করছে যা মাউসের মতোই কম্পিউটারে ইনপুট দেবে যার নাম Amenbo. এটি একটি পাঁচ আঙুলের ইনপুট ডিভাইস যা প্রতিটি আঙুলের নড়াচড়া এবং চাপ আলাদাভাবে সনাক্ত করতে পারে।
 ভবিষ্যত প্রযুক্তি- পাঁচ আঙ্গুলের মাউস-১
ভবিষ্যত প্রযুক্তি- পাঁচ আঙ্গুলের মাউস-২
ভবিষ্যত প্রযুক্তি- পাঁচ আঙ্গুলের মাউস-৩
যন্ত্রটির প্রতিটি Fingertip অংশেই বিশেষ সেন্সর লাগানো আছে যাতে করে সবগুলো আঙুলের প্রদত্ত কমান্ড একসাথে রিসিভ করতে পারে, বিশেষ করে গেমস কমান্ডের ক্ষেত্রে এক হাত ব্যবহার করেই অনেক কাজ খুব সহজে করা যাবে নির্বিঘ্নে।
ভবিষ্যত প্রযুক্তি- পাঁচ আঙ্গুলের মাউস-৪
ডিভাইসটির প্রতিটি আঙুল নমনীয় জালের মতো তারের মাধ্যমে সংযুক্ত যাতে করে বিভিন্ন মাপের আঙুলের নড়াচড়ার জন্য এটি সম্প্রসারিত হতে পারে।

পোর্টেবল প্রিন্টার
এখন প্রযুক্তির সব কিছুতেই পোর্টবল হবার বিশেষ টান। বিশেষ করে সফটওয়্যারগুলোর পোর্টেবল ভার্সন তো তুমুল জনপ্রিয় আজকাল। তো সেক্ষেত্রে আর হার্ডওয়্যাররই বা বাদ যাবে কেন? পোর্টেবল যুগে চলে আসছে পোর্টেবল প্রিন্টার। না বহনযোগ্য কোন বিশাল প্রিন্টার না,নিতান্তই ছোট ডিভাইস এটা।
পোর্টেবল-প্রিন্টার-১
সামান্য পরিমান প্রিন্টিং লোড নিতে পারে এটি। ২৩ সে.মি X ৬ সে.মি আকারের কাগজই এটার জন্য সঠিক। ডিভাইসটির একপাশে আছে Slot type cartridge প্রবেশের জন্য বিশেষ স্লট। আর একপাশে আছে USB পোর্ট। আর হ্যাঁ, OLED (Organic Light Emitting Diode) নামক বিশেষ এলইডির সাহায্যে কতটুকু প্রিন্ট হয়েছে তা প্রিন্টারের উপরে ডিসপ্লে হবে।
পোর্টেবল-প্রিন্টার-২
পোর্টেবল-প্রিন্টার-৩

-----------------------------------------------------------------------------
লিখাটি নিয়ে আপনার মতামত কি?

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...