Skip to main content

ভিডিও কলের জন্য বিশেষ ডিভাইস আনলো ফেসবুক!!

ভিডিও কলের জন্য বিশেষ ডিভাইস আনলো ফেসবুক!

সংগৃহীত- বিভাগ : আইটি টেক নিউজ
 ফেসবুক পোর্টাল
বেশ কিছুদিন ধরেই একটা গুঞ্জন চলছিল, ফেসবুক কিছু একটা দেখাবে। কিন্তু ঠিক কী দেখাবে তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছিলনা। মাঝখান থেকে বের হল ফেবুকের ৫ কোটি ব্যবহারকারীর একাউন্টে হ্যাকিং আক্রমণের খবর! যদিও আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ফেসবুক ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিকার মত এই ধকলও সামলে উঠেছে, তবে জিডিপিআর ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়ত যেতে হবে কোম্পানিটিকে। বিশাল অংকের জরিমানাও হতে পারে। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যেই আজ হঠাত নতুন কিছু প্রকাশ করল ফেসবুক। কোনো অ্যাপ কিংবা অ্যালোগিরদম চেঞ্জ নয়, আজ এসেছে জ্বলজ্যান্ত নতুন দুটি হার্ডওয়্যার, যার নাম ‘পোর্টাল’।
না, কোনো অনলাইন নিউজ পোর্টাল নয়। এটা হচ্ছে ফেসবুকের নতুন ভিডিও কলিং ডিভাইস। ট্যাবলেট ঘরানার দুটি ডিজিটাল যোগাযোগ যন্ত্র প্রকাশ করেছে ফেসবুক, যার একটির নাম পোর্টাল, ও অপরটি পোর্টাল প্লাস (পোর্টাল+)।
এগুলো ইন্টারনেটে যুক্ত করে ও এতে আপনার ফেসবুক মেসেঞ্জার একাউন্ট লগইন করে অন্যান্য ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীর সাথে ভিডিও কল করতে পারবেন। এমনকি গ্রুপ কলিংও সম্ভব।
আগেই বলেছি, পোর্টালের মোট দুটি মডেল। এদের মধ্যে পোর্টাল হচ্ছে ডেস্ক ক্যালেন্ডারের মত দেখতে একটি ডিভাইস যাতে আছে ১০ ইঞ্চি সাইজের একটি টাচস্ক্রিন, ফ্রন্ট ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও স্পিকার। এর স্ক্রিন রেজ্যুলেশন ১২৮০ x ৮০০ পিক্সেল।
অপরদিকে পোর্টাল+ এ আছে ১৫ ইঞ্চি ১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের লম্বা একটি টাচস্ক্রিন। আরও আছে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও স্পিকার।
উভয় ডিভাইসেই অ্যামাজন অ্যালেক্সা ভয়েস এসিস্ট্যান্ট বিল্ট-ইন আছে, ফলে আপনি ভয়েস কমান্ড দিয়ে অনেক কাজ করতে পারবেন। এর এআই ক্যামেরা ভিডিও কলে থাকা ব্যক্তির নড়াচড়া বুঝে সেই অনুযায়ী ফ্রেম অ্যাডজাস্ট করে নেয়। এছাড়া আরও আছে নয়েজ মিনিমাইজার ও মেসেঞ্জার ভিডিও ফিল্টার/স্টিকার ও ফ্রেম। বাড়তি অ্যাপও ইনস্টল করা যাবে এতে।
ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য portal.facebook.com সাইটে ফেসবুক পোর্টালের প্রি-অর্ডার শুরু হয়ে গেছে, যা নভেম্বরে পাওয়া যাবে। পোর্টালের দাম ১৯৯ ডলার, পোর্টাল+ এর দাম ৩৪৯ ডলার। দুটি একসাথে কিনলে ১০০ ডলার ডিসকাউন্ট।

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...