Skip to main content

সকল মোবাইলে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেয়ার উপায়!!

সকল মোবাইলে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেয়ার উপায়!!

বিভাগ- টিপস & ট্রিকস : 10 অক্টোবর, 2018
একসময় মোবাইলের ব্যাল্যান্স শেষ হয়ে গেলে মিসড কল ছাড়া আর কোন গতি ছিল না। কিন্তু বর্তমানে অপারেটররা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নামে এক ফিচারের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে আর ব্যাল্যান্সহীন অবস্থায় অচল থাকতে দিচ্ছে না। সব মোবাইল অপারেটরই তাদের নিজস্ব বিভিন্ন শর্তের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স দিচ্ছে। একেক অপাররেটরের এমার্জেন্সি ব্যালেন্স পাওয়ার শর্ট কোড ও শর্ত একেক রকম। তাই বিপদের সময় সবকিছু একসাথে পেতেই আজকের এই পোস্ট।

সব সিমে ইমার্জেন্সি ব্যাল্যান্স নেয়ার উপায়

সকল সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেয়ার উপায় ও এমারজেন্সি ব্যালেন্স জানার শর্টকোড এই পোস্টে তুলে ধরা হল।

গ্রামীণফোন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স

শর্ট কোডঃ *121*1*3#
পরিমাণঃ সর্বনিম্ন ১১ টাকা থেকে গ্রাহকভেদে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা
শর্তাবলীঃ
  • সকল জিপি প্রিপেইড (বন্ধু, স্মাইল, বিজনেস সলিউশন (১,২,৩, ৫ ও সফল) প্রিপেইড, একতা (১,২,৩,৪), জিপিপিপি, ভিপি গ্রাহকগণ ডায়নামিক ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স হিসেবে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পাবেন
  • সকল গ্রাহকের জন্য সর্বনিম্ন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ১১ টাকা
  • *121*1010*2# ডায়াল করে আপনার জন্য বরাদ্দকৃত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স জেনে নিন
  • ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পেতে গ্রাহককে  *121*1*3# (চার্জ ফ্রি) ডায়াল করতে হবে
  • গ্রাহকগণ যেকোনো ভয়েস কল ও যেকোনো SMS-এর জন্য (পোর্ট সহ) ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারবেন
  • ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স থেকে কোনো ইনকামিং SMS, মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি এবং EDGE ইউসেজ-এর চার্জ গ্রহণ করা হবে না
  • ব্যবহারের দিক থেকে ক্রয়কৃত মিনিট (যেমন: বান্ডল) ও অন্যান্য ফ্রি বোনাস, ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এর চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে
  • গ্রাহকের ইউসেজ-এর উপর ভিত্তি করে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এর পরিমাণ নির্ধারিত হবে
  • ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এ রোমিং ইউসেজ প্রযোজ্য নয়
  • গ্রাহকের পরবর্তী রিচার্জ-এ, রিচার্জ কৃত বা রিফিল কৃত অ্যামাউন্ট থেকে যা খরচ শুধুমাত্র সেটুকুই ফেরত নেয়া হবে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স অ্যামাউন্ট কেটে নেয়া হবে। আংশিক রিচার্জ-এর ক্ষেত্রে (খরচকৃত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এর চেয়ে কম), আংশিক অ্যামাউন্ট রিচার্জ অ্যামাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হবে এবং অবশিষ্ট অ্যামাউন্ট পরবর্তী রিচার্জ বা রিফিল থেকে কেটে নেয়া হবে
  • ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স অ্যামাউন্ট যেকোনো সময় ব্যবহার করা যাবে
  • পূর্বের অ্যামাউন্ট পরিশোধ করার পরই গ্রাহকগণ পরবর্তী ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন
  • ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স অ্যামাউন্ট চেক করতে গ্রাহককে*121*1*3# ডায়াল করতে হবে (চার্জ ফ্রি)
  • ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স-এ প্রডাক্ট ট্যারিফ ও প্রডাক্ট পাল্‌স প্রযোজ্য
  • ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স উপভোগ করতে হলে গ্রাহকের মূল অ্যাকাউন্টের মেয়াদ থাকতে হবে
  • অন্যান্য সকল ট্যারিফ, সার্ভিস ও পাল্‌স অপরিবর্তিত থাকবে
  • সকল চার্জে ৫% সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। সম্পূরক শুল্কসহ মোট মূল্যের উপর ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য+ মূল কলরেটের উপর ১% সারচার্জ প্রযোজ্য
  • এই অফারটি skitto গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য নয়
  • সূত্রঃ ওয়েবসাইট

রবি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স

শর্ট কোডঃ *123*007# অথবা START O লিখে 8811 নম্বরে পাঠান।
পরিমাণঃ সর্বনিম্ন ২১ টাকা থেকে গ্রাহকভেদে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা
শর্তাবলীঃ
  • এই ফিচারের মাধ্যমে সকল রবি প্রিপেইড গ্রাহক তাদের পূর্বের ব্যবহারের নিরিখে ২১-১০০ টাকা পর্যন্ত চাহিদা ভিত্তিক ঝটপট ব্যালেন্স পাবেন।
  • গ্রাহকের ব্যবহার ও রিচার্জের ধরণ অনুযায়ী প্রতি মাসে চাহিদা ভিত্তিক ঝটপট ব্যালেন্স ক্রেডিট সীমা পরিবর্তিত হবে।
  • চাহিদা ভিত্তিক ঝটপট ব্যালেন্সের নিবন্ধন বাতিল করতে গ্রাহককে কোন নিবন্ধন বাতিলের কোড ডায়াল করতে হবে না। প্রতিবার কেবল ব্যালেন্স নেওয়ার জন্যে উপরের কোড ডায়াল করবেন।
  • গ্রাহক নিচের নির্দেশনা অনুযায়ী চাহিদা ভিত্তিক ঝটপট ব্যালেন্সের স্টেটাস চেক করতে পারবেন:
  • ইউএসএসডি: *১২৩*০০৭# (বিনা মূল্যে) ডায়াল করতে পারেন, অথবা
  • এসএমএস: START O লিখে ৮৮১১ নম্বরে পাঠান।
  • গ্রাহক চাহিদা ভিত্তিক ঝটপট ব্যালেন্টের টাকা যে কোন ভয়েস কল, লোকাল এসএমএস, এবং যে কোন ভয়েস ও বান্ডেল কেনার জন্যে ব্যবহার করতে পারবেন। লোনের টাকাসহ গ্রাহক ১ মিনিট অতিরিক্ত পাবেন। নিচে মিনিটের বিস্তারিত দেওয়া হলো:
 রবি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স
  • ঋণ পরিশোধের সময় সামান্য পরিমাণ সেবার ফি কেটে রাখা হবে।
  • প্রথমে মূল ঋণের টাকা পরিশোধ হবে; এরপর ফি কর্তন হবে।
  • গ্রাহক পরবর্তীতে রিচার্জ করলে চাহিদা ভিত্তিক ঝটপট ব্যালেন্স(রিচার্জের টাকা অথবা মোট ঋণের ৭০%, যেটি কম হয়, সেটি প্রযোজ্য) রিচার্জের টাকা থেকে কর্তন হয়ে যাবে।
  • গ্রাহক চাহিদা ভিত্তিক ঝটপট ব্যালেন্সের সম্পূর্ণটা অথবা পুরো সীমাই ব্যবহার করতে পারবেন।
  • গ্রাহক এই ক্রেডিট সীমা পুরোপুরি ব্যবহার করার পরে ঋণ পরিশোধ না করলে অন্য কোন ক্রেডিট নিতে পারবেন না।
  • চাহিদা ভিত্তিক ঝটপট ব্যালেন্স নিলেও গ্রাহকের প্যাকেজ সংশ্লিষ্ট কল চার্জ ও পালস্ অপরিবর্তিত থাকবে।
  • চাহিদা ভিত্তিক ঝটপট ব্যালেন্স উপভোগ করতে হলে গ্রাহকের মূল অ্যাকাউন্টের মেয়াদ থাকতে হবে।
  • চাহিদা ভিত্তিক ঝটপট ব্যালেন্স দিয়ে কোন আইডিডি/রোমিং ব্যবহার করা যাবে না।
  • ক্যাম্পেইনের মেয়াদ: পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত চালু থাকবে।
  • সূত্রঃ ওয়েবসাইট

এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স

শর্ট কোডঃ *141# অথবা ডায়াল 20141
পরিমাণঃ গ্রাহকভেদে ১২, ২২ কিংবা ৩২ টাকা
শর্তাবলীঃ
  • সার্ভিসটির এলিজিবিলিটি গ্রাহকদের প্রতি মাসে ক্রেডিট ব্যবহারের উপর নির্ভর করবে।
  • পূর্ববর্তী লোন ফেরত দেয়ার আগ পর্যন্ত নতুন করে ইমারজেন্সি ব্যাল্যান্স নেয়া যাবে না।
  • রিচার্জের পর অটোমেটিক লোণ এমাউন্ট ও সাথে সার্ভিস চার্জ কেটে নেয়া হবে।
  • ব্যালেন্স জানতে ডায়াল করুন *1#
  • প্রতিবার লোন নেয়ার জন্য সার্ভিস চার্জ হিসেবে ভ্যাট ও সারচার্জ সহ ২.৪৪ টাকা কর্তন করা হবে।
  • সূত্রঃ ওয়েবসাইট

বাংলালিংক ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স

শর্ট কোডঃ *874#
পরিমাণঃ গ্রাহকভেদে সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা
শর্তাবলীঃ
  • অগ্রিম ব্যালেন্স আনলিমিটেড মেয়াদে যে কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে
  • বাংলালিংক অ্যাডভান্স নেয়ার পর, ঋণের পরিমাণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকগণের পরবর্তী রিচার্জের সাথে সমন্বয় করা হবে
  • অ্যাডভান্স লোন (ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স) কত বাকী আছে তা জানতে ডায়াল করুন *874*0#
  • গ্রাহকদের বাংলালিংক অ্যাডভান্স সার্ভিস উপভোগ করতে মোবাইলে ৳১০ বা তার কম ব্যালেন্স থাকতে হবে
  • ১৫ টাকা বা তার বেশি লোন এর ক্ষেত্রে SMS চার্জ হিসাবে ১.৫ (VAT SD & SC সহ)কেটে নেয়া হবে
  • পূর্ববর্তী বাংলালিংক অ্যাডভান্স শোধ না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহকরা আর একটি বাংলালিংক অ্যাডভান্স ব্যালেন্সের জন্য অনুরোধ করতে পারবেন না
  • সকল বাংলালিংক প্রিপেইড এবং কল অ্যান্ড কন্ট্রোল গ্রাহকরা এই সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
  • সূত্রঃ ওয়েবসাইট

টেলিটক ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স

শর্ট কোডঃ *1122# অথবা YES লিখে 1122 নম্বরে পাঠান
পরিমাণঃ গ্রাহকভেদে ১০, ২০, ৩০ কিংবা ৫০ টাকা পাবেন।
শর্তাবলীঃ
  • ইমারজেন্সি ব্যাল্যান্স এর মেয়াদ আনলিমিটেড থাকবে।
  • ইমারজেন্সি ব্যাল্যান্স রিচার্জের পর অটোমেটিক কেটে নেয়া হবে।
  • ব্যালেন্স জানতে *1122# ডায়াল করুন অথবা SMS করুন STATUS লিখে 1122 নাম্বারে
  • প্রতি মাসে ক্রেডিট ব্যবহারের উপর নির্ভর করে গ্রাহকের সর্বোচ্চ ইমারজেন্সি ব্যাল্যান্স লিমিট পরিবর্তিত হবে।
  • ইমারজেন্সি ব্যাল্যান্সে সার্ভিস ফি কর্তন করা হবে।
  • সার্ভিস ফি এর সাথে ভ্যাট ও সারচার্জও যুক্ত হবে।
  • ইমারজেন্সি ব্যাল্যান্স এর সর্বোচ্চ লিমিট নিচের ছকে দেয়া শর্তানুযায়ী নির্ধারিত হবে
 টেলিটক এমারজেন্সি ব্যালেন্স
সোর্সঃ ওয়েবসাইট

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...