Skip to main content

রক্তকে বিষমুক্ত করতে খেতে হবে এই 8টি খাবার।

রক্তকে বিষমুক্ত করতে খেতে হবে এই ৮টি খাবার

সংগৃহীত-   27 সেপ্টেম্বর, ২০১৮ 09:02


রক্তকে বিষমুক্ত করতে খেতে হবে এই ৮টি খাবার
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পরিবেশ এবং খাবারে উপস্থিত নানাবিধ বিষাক্ত উপাদান সারা দিন ধরে প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে থাকে। আর যখন রক্তে এইসব বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন একের পর এক রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। বিশেষত নানাবিধ ত্বকের রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। তাই তো রক্তকে সব সময় পরিষ্কার রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।
এখন প্রশ্ন হল রক্তে ক্ষতিকর উপদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কীভাবে বোঝা সম্ভব? এক্ষেত্রে প্রথমেই ব্রণর প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সোরিয়াসিসের মতো রোগও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তবে এখানেই শেষ নয়, রক্ত যেহেতু শরীরের প্রতিটি কোণায়, প্রতিটি অংশে পৌঁছে যায়, তাই রক্ত যদি বিশুদ্ধ না থাকে, তাহলে কিন্তু একে একে শরীরের বাকি অংশের উপরও তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। ফলে আয়ু কমতে শুরু করে। তাই তো প্রতি মুহূর্তে সাবধান থাকাটা জরুরি!
কিন্তু প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করার পরেও যদি রক্তে বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তাহলে কী করণীয়? সেক্ষেত্রে এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিগুলিকে কাজে লাগাতে হবে। ফলে রক্ত ময়লা হয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগই থাকবে না। আর রক্ত বিশুদ্ধ থাকলে দেখবেন ত্বকের রোগ তো দূরে থাকবেই, সেই সঙ্গে শরীরও একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের চলুন জেনে নেওয়া যাক রক্তকে বিশুদ্ধ রাখার ঘরোয়া উপায়গুলি সম্পর্কে।
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত যে যে খাবারগুলি খেতে হবে, সেগুলি হল...
১. বাদাম
একাধিক গবেষণা অনুসারে নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খাওয়া শুরু করলে শরীরের অন্দরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ভিটামিন ই-এর ঘাটতিও দূর হয়, যার প্রভাবে রক্তে উপস্থিত টক্সিক উপাদানেরা শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের অন্দরে বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে কমে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে পরার সম্ভাবনাও।
২. ব্রকলি
এতে প্রচুর মাত্রায় ডিটক্স এজেন্ট বা ময়লা বের করে দেওয়ার উপাদান রয়েছে। তাই তো প্রতিদিন এই সবজিটি খেলে রক্ত ময়লা হয়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, রক্তের কোণায় কোণায় লুকিয়ে থাকা ময়লাকে টেনে বার করতে ব্রকলি দারুন কার্যকরী, তাই তো রক্ত বিশুদ্ধ করতে ব্যবহৃত ঘরোয়া চিকিৎসাগুলির মধ্য়ে এটি এত জনপ্রিয়।
৩. বিটরুট
এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ, যা শরীরকে নানা ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, লিভারের কর্মক্ষমতা বারাতেও বিটরুট দারুন কাজে আসে। আর একবার লিভার চাঙ্গা হয়ে গেলে শরীর থেকে বিনা বাঁধায় ক্ষতিকর সব বিষাক্ত উপাদানগুলিও খুব সহজে বেরিয়ে যায়।
৪. লেবু
শরীরে ক্ষতিকর টক্সিনের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত রক্ত ময়লা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। লেবু নানাভাবে শরীর থেকে এইসব বিষগুলিকে বের করে দেয়। ফলে রক্ত খারাপ হয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগই পায় না। এখানেই শেষ নয়, লেবুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে উপস্থিত বিশেষ কিছু এনজাইমের কর্মক্ষতা বৃদ্ধি করে। এই এনজাইমগুলি শরীরে উপস্থিত টক্সিনগুলিকে দ্রবণীয় উপাদানে পরিবর্তিত করে দেয়। ফলে সেগুলি সহজে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। আর যেমনটা আগেই বলেছি, শরীরে টক্সিনের মাত্রা যত কমবে, তত রক্ত বিশুদ্ধ থাকবে।
৫. আদা
এই মশলাটি সেই আদি কাল থেকে নানা রোগের চিকিৎসায় ব্য়বহৃত হয়ে আসছে। এতে কার্কিউমিন নামে এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর মাত্রায় রয়েছে, যা রক্তকে শুদ্ধ করার পাশাপাশি একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন যদি অল্প করে হলুদ খাওয়া যায়, তাহলে কিডনি এবং হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, ফলে শরীর থেকে টক্সিন বেশি মাত্রায় বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।
৬. করলা
আমার মতই আপনারা নিশ্চয় ছোট বেলা থেকে শুনে আসছেন তেঁতো খেলে শরীর ভাল থাকে! একথাটি বাস্তবিকই সত্যি যে করলা জাতীয় তেঁতো খাবার খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়, ফলে নানা রোগের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর বেঁচে থাকে। প্রসঙ্গত, করলায় প্রচুর মাত্রায় ডিটক্সিফাইং এজেন্ট রয়েছে, যা রক্ত থেকে ক্ষতিকর উপাদানকে টেনে টেনে শরীর থেকে বার করে দেয়। ফলে সোরিয়ায়িস এবং ব্রণর মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ যেমন কমে, তেমনি নানা ধরনের জটিল শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
৭. আমলকি
রক্ত শুদ্ধ করতে এই ফলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতেও এই ফলটি দারুন কাজে আসে। ফলে সার্বিকভাবে যদি শরীর সুস্থ রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন খেতেই হবে এই ফল।
৮. গাজর
রক্ত ময়লা হয়ে যাওয়ার কারণে সরিয়াসিস সহ যেসব ত্বকের রোগ হয়, সেগুলির প্রকোপ কমাতে গাজরের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। প্রসঙ্গত, গাজরে রয়েছে গ্লুটেথিয়ান নামে একটি উপাদান, যা একপ্রকার ক্লিনসিং এজেন্ট, অর্থাৎ রক্তকে পরিষ্কার করতে এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া এই সবজিটিতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে ভিটামিন- এ, বি, সি এবং কে এবং পটাশিয়াম। এই সবকটি উপাদানই শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে দারুন কাজে আসে। তাই যখনই বুঝবেন রক্ত ময়লা হতে শুরু শুরু করেছে, গাজর খাওয়া শুরু করবেন, দেখবেন দারুন ফল পাবেন।

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...