
অনলাইনে আয় ২০১৮ : লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর গোপন কথা | ঘরে বসে আয়
অনলাইনে টাকা ইনকাম ২০১৮ : নক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর গোপন কথা
হেডলাইন পড়ে যদি আমার এই মূল লেখায় লক্ষ টাকা অনলাইনে আয় করার আশায় ঢুকে থাকেন তাহলে এখনই নিজের কাজে ফিরে যান। আমি যা লিখব তা আপনার ভালো লাগবেনা কারণ অনলাইনের বদৌলতে আপনি গুগল সার্চ করে ইতিমধ্যে জেনে গেছেন অনলাইনে আয় ২০১৮ সালে একদম পানি ভাত।
পানি ভাত সত্যি হবে যদি আপনি ধৈর্য ধরেন এবং লেগে থাকেন। রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকা কামানো সম্ভব হলে কেউ আর কোম্পানি খুলে প্রশিক্ষণ দিতনা।
পানি ভাত সত্যি হবে যদি আপনি ধৈর্য ধরেন এবং লেগে থাকেন। রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকা কামানো সম্ভব হলে কেউ আর কোম্পানি খুলে প্রশিক্ষণ দিতনা।
একবার ভাবুন, যারা অনলাইনে আয় বিষয়ক প্রশিক্ষণের নামে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তারা আসলেই কতটা ইনকাম করছে। ধরা যাক, ‘সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন’ বা ইউটিউব থেকে আয় কোর্সে ১০,০০০ টাকা টিউশন ফিস দিয়ে ৫০ জন ছাত্র কোর্সে ভর্তি হলো। মেয়াদ ৩ মাস। প্রশিক্ষণ কোম্পানি টাকা পেলো ৫ লক্ষ।
তিন মাস তারা আপনাদের শিখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা গ্রস ইনকাম করল, যা প্রতি মাসের হিসেবে ১,৬০,০০০ টাকা। এইবার আসেন খরচে। প্রশিক্ষকের বেতন মাসিক ২০,০০০ টাকার নিচে হবেনা।
অফিস ভারা, স্টাফ বেতন ইত্যাদি সব মিলিয়ে ঢাকা শহরে মিনিমাম ৮০,০০০ টাকার নিচে অফিস চালানো সম্ভম নয়। তাহলে ঐ কোর্সের জন্যে কত প্রফিট থাকলো??
অনলাইন থেকে আয় ২০১৮ : একটু ভাবুন এবং হিসেব করুন
হিসেবটা এমনঃ
টিউশন ফি থেকে আয় = ১৬০,০০০
বেতন এবং ভারা বাবদ = ১০০,০০০
নেট প্রফিট = ৬০,০০০ টাকা
এখন যদি ঐ কোম্পানি এইরকম আরো কোর্স শুরু করল, ‘সিপিএ মার্কেটিং’,’ওয়েব ডেভেলপ কোর্স‘, ‘গ্রাফিক্স ডিজাইন’ ইত্যাদি। ১০টি কোর্স করলেও মাসিক ৬ লক্ষ টাকার বেশি কি ইনকাম হয়?
কোম্পানির মালিক কি একজনই হয়?? যদি একজনই হয়, তাঁর অপারেটিং এক্সপেন্স বেড়ে যাবে ডাবল। নেট প্রফিট ১-২ লক্ষ তে নেমে যাবে। সারা মাস কোম্পানি চালিয়ে ১-২ লক্ষ টাকা ইনকাম ভালো নাকি, বাসায় শুয়ে বসে যখন খুশি আরামসে কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা অনলাইনে আয় ??
উত্তর আপনার মাথার ভিতরেই। মাথাটা ঘুড়িয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে দেখুন কি মনে হয়?
প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকুন
আমার এই লিখার উদ্দেশ্য প্রশিক্ষণ কোম্পানি গুলোকে ছোট করা নয়। বরং ব্যাঙের ছাতার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোম্পানি গুলোর কাছ থেকে আপনাকে রক্ষা করা। সুন্দর ফিগারের কোন নারী দাড়িয়ে ‘ভি’ সাইন দেখাচ্ছে আর বলা হচ্ছে, মাসে লক্ষ টাকা অনলাইনে আয় ২০১৮ সালে তাও আবার ১ মাসের মধ্যে গ্যারান্টি, জাস্ট ইগ্নোর করুন।
এখন কথা হল কিভাবে বুঝবেন আপনি ভালোটায় যোগ দিচ্ছেন নাকি টাকা জলে ফেলছেন? প্রথমেই যেটা দেখতে হবে, যারা শিখাবে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কি? শুধু কোর্স করেই কোম্পানি চালায়? নাকি বিজনেস আরো প্রসারিত।
বড় বিজনেস হলেই আপনাকে প্রতারনা করবেনা তা নয়, কিন্তু বড় কোম্পানি বা টেকনোলজি লাইনে অভিজ্ঞ হলে আপনি অন্তত ভাল প্রশিক্ষক পাবেন এটা গ্যারান্টিড। কারণ ভালো ‘গুরু’ বা ‘মাস্টার’ কখনোই ব্যাঙের ছাতার মত কোম্পানিতে টিউশন নিবেনা। ভালো প্রশিক্ষক সর্বদাই ভালো প্রযুক্তি মানের কোম্পানিই সিলেক্ট করবেন।
অনলাইনে আয় বা ফ্রিলেন্সিং নিয়ে কিছু পরামর্শ
- প্রথমেই লাখপতি হবার চিন্তা বাদ দিন।
- ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ এ ভালো নাহলে অনলাইন ইনকাম আপনার জন্যে নয় মেনে নিন।
- অনলাইনে রিসার্চ করুন। পেইড ওয়েবসাইট না ঘেটে ফোরাম গুলোতে জয়েন করুন।
- ছোট কিছু করার চিন্তা করুন যেমন, আপনি ডিজাইনিং এ ভাল হলে লোগো ডিজাইন করুন।
- সুন্দর একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করে আয় করতে পারেন।
- ওয়েবসাইট বানানো শিখতে পারেন। সকল কিছুই অনলাইনেই পাবেন। কোথাও যেতে হবেনা।
- ওয়েবসাইট বানিয়ে গুগলের এডসেন্স দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
- আপনি ভালো লেখক হলে আর্টিকেল লিখে ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
- টাইপিং স্পীড ভালো হলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন।
ইন্টারনেটে টাকা আয় বা অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো ব্লগিং।
২০১৮ সালে শুধু ব্লগিং করে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারেন। মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারবেন।
ব্লগিং শুরু করতে হলে প্রথমে আপনার কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে।
অনলাইনে টাকা আয় ২০১৮
- ওয়েবসাইট তৈরি করা : আপনার ব্লগিং সাইট তৈরি করুন। ব্লগ শুরু করার জন্যে আপনি ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে শুরু করতে পারেন। শুরুতে ডোমেইন ও হোস্টিং না নিয়ে ফ্রি একাউন্ট দিয়ে ব্লগ চালানো ভালো। আপনার লেখা কেমন? মানুষ আপনার লেখা কেমন পড়ছে এবং কত ভিজিটর পাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করবে আপনার ব্লগিং ভবিষ্যৎ এবং অনলাইনে আয়।
- ব্লগ ক্যাটেগরি : ওয়েবসাইট তৈরি হলে আপনার ব্লগের ক্যাটেগরি নির্ধারণ করুন। আপনি কি নিয়ে লিখতে চান? স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, গল্প, ধর্ম ইত্যাদি। নির্ধারণ করুন এবং সেই ক্যাটেগরিতে মার্কেট লিড করছে কারা তাদের বিষয়ে একটু জানুন।
- নিয়মিত পোস্ট করা : আপনার ব্লগ তৈরি করার পর প্রথম কাজ হলো ভালো কিছু লেখা পোস্ট করা। লেখা অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। কোথাও থেকে লেখা কপি করে পোস্ট করলে ভিজিটর আপনার লেখা একবারই পড়বে। দ্বিতীয়বার কেউ আর আপনার সাইটে আসবে না।
- সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার : আপনার ব্লগ পোস্ট গুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। ফেসবুক, গুগল+, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন, পিন্টারেস্ট, টাম্বলার ইত্যাদি। সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করলে আপনার ব্লগ এ ভিজিটর যেমন বাড়বে তেমনি আপনার ব্লগ পরিচিতি পাবে।
- গুগল এডসেন্স আবেদন : ব্লগ সাইটে কিছু ভিজিটর আসার পর আপনি গুগলে আবেদন করতে পারেন আপনার সাইটে এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন এর জন্যে। গুগল এডসেন্স কি এবং কিভাবে কাজ করে জানুন।
- গুগল সার্চ কনসোল : গুগল সার্চ কনসোল বা ওয়েবমাস্টার টুল এ নিজের সাইট ভেরিফিকেশন করে নিন। এই টুল দিয়ে আপনি আপনার সাইটের বিস্তারিত ফলাফল দেখতে পারবেন। আপনার সাইটে কোন ত্রুটি আছে কিনা? কোন কোন পেজ গুগল এ ইনডেক্স হয়েছে ইত্যাদি।
গুগল এনালাইটিক্স
Google Analytics একটি দুর্দান্ত মাধ্যম আপনার সাইট নিয়ে রিসার্চ করার জন্যে। আপনার সাইটে কত ভিজিটর আসলো? তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কি? এমনকি তারা কোন মোবাইল দিয়ে ব্রাউজ করেছে, মোবাইলের স্ক্রিন রেজোলিউশন সহ আপনি দেখতে পারবেন।
- বেসিক এসইও : আপনার সাইট এ বেসিক এসইও করে নিন। সার্চ ইঞ্জজিন অপ্টিমাইজেশান ছাড়া আপনি কোন ভাবেই সফল হতে পারবেন না। অরগানিক ট্রাফিক ছাড়া ব্লগ সাইট চালানো কষ্টকর।
- ফ্রি টুল : কিছু ফ্রি টুল ব্যবহার করতে পারেন আপনার সাইট র্যাঙ্ক করানোর জন্যে। যেমন কিওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্যে https://www.keywordrevealer.com
- সাইট চেকাপ বা কি ওয়ার্ড পজিশন চেক করার জন্যে https://www.semrush.com
ইন্টারনেট থেকে আয়
অনলাইনে আয় ২০১৮ সালে করার পদ্ধতি সরল, কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্য। ইনকাম করার পদ্ধতি বলে শেষ করা যাবেনা।
কিছু লিংক দিতে পারি, যেখানে আপনার কাছে টাকা চাইবেনা,মানে সত্যি ফ্রি কিছু শিখতে পারবেন।
ফ্রিলেন্সিং নিয়ে লিংক দেয়ার কিছু নেই সবার কাছেই আছে 
ওয়েব ডেভেলপ নিয়ে নিচের লিংক গুলোতে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন ফ্রিঃ
উপরের ২ টি লিংক, ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপ এর জন্যে কাজে দিবে।
প্রথম লিঙ্কটিতে আপনি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপ এর ধারনাও পাবেন।
------ সংগৃহীত।
Comments
Post a Comment