Skip to main content

আলোচনায় বেশি বয়সী নায়িকার কম বয়সী বর

আলোচনায় বেশি বয়সী নায়িকার কম বয়সী বর

শুধু প্রিয়াঙ্কা নন, তালিকায় আছেন লিজ টেলর-নার্গিস- বিপাসা-অমৃতা-সোহা...

সংগৃহীত-   27 সেপ্টেম্বর, ২০১৮ 20:38

আলোচনায় বেশি বয়সী নায়িকার কম বয়সী বর
লিজ টেলর, তার নিজ সময়ে
বলিউড কুইন প্রিয়াঙ্কা চোপরা নিজের চেয়ে কম বয়সী মার্কিন গায়ক নিক জোনাসকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন- এ ঘটনা নিয়ে দেশি-বিদেশি শোবিজ জগতে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা কম হচ্ছে না। যদিও এটি আইন বা সামাজিক রীতিতে নিষিদ্ধ বিষয় নয়। 
বিশেষ করে হলিউডি শোবিজ জগতে এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে যেখানে কনের বয়স বরের চেয়ে ঢের বেশি। একসময়ের শীর্ষ হলিউড অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলর ওরফে লিজ টেলরের অষ্টম অর্থাৎ সর্বশেষ স্বামী ল্যারি তার চেয়ে প্রায় ২০ বছরের ছোট ছিলেন। 
বলিউডেও এমন দৃষ্টান্ত কম নয়। সাইফ আলি খানের সঙ্গে তার চেয়ে ১০ বছরের বড় অমৃতা সিংয়ের বিয়েও এক সময় হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল। তবে প্রিয়াঙ্কা ভেঙে দিচ্ছেন অমৃতার রেকর্ডও। তার হবু বর নিকের বয়স তার চেয়ে ১১ বছর কম। 
তো কথা যখন উঠেছে, কালের কণ্ঠের প্রিয় পাঠক মহল- আসুন দেখে নেওয়া যাক হলিউড-বলিউডের এমন কিছু অসম বয়সী বিয়ের ইতিহাস যেখানে কনের বয়স ছিল বরের চেয়ে বেশি।

ঐশ্বর্য রাই-অভিষেক বচ্চন: সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী এবং বলিউড হার্টথ্রব তার চেয়ে বয়সে ছোট অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেছিলেন। বিগ বি অমিতাভ বচ্চনের ছেলে অভিষেক বচ্চন বয়সে ৩ বছরের ছোট ঐশ্বর্যের চেয়ে। ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল এই জুটি পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। এর আগে অবশ্য কারিনার বড় বোন কারিশমার সঙ্গে অভিষেকের বিয়ে প্রায় হওয়ার পথে ছিল। 
অপরদিকে, ঐশ্বর্যের সঙ্গে বলিউডের তখনকার চনমনে হিরো বিবেক ওবেরয়ের প্রেম এবং সে সূত্রে বিয়েটাও সময়ের ব্যাপার মনে করছিলেন অনেকে। কিন্তু শেষতক তা আর হয়ে ওঠেনি। বচ্চন পরিবারের বউ হওয়াটাই বেশি নিরাপদ বিবেচিত হয় তার কাছে। তবে তারও আগে সালমান খানের সঙ্গে অ্যাশের প্রেম তো আরেক আলোচিত অধ্যায়।    
নার্গিস-সুনিল দত্ত: হিন্দি চলচ্চিত্রের লিজেন্ড নার্গিস ১৯৫৮ সালে বিয়ে করেন তার চেয়ে ৬ বছরের ছোট সুনিল দত্তকে। ওই সময়ে নার্গিসের বয়স ছিল ২৯ আর সুনিলের ২৩ বছর। তবে তাদের এই বিয়ের পেছনে আচমকা ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা ভূমিকা রেখেছিল। 
১৯৫৭ সালে মেহবুবের বহুল আলোচিত ছবি মাদার ইন্ডিয়ার শুটিং চলছিল। হঠাৎ সেটে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। আটকা পড়ে যান নার্গিস। তখন ফিল্মি স্টাইলে নিজের জীবন বাজি রেখে তখনকার শীর্ষ নায়িকা নার্গিসকে আগুন থেকে উদ্ধার করেন সুনিল দত্ত। 
সুনিলের এ নায়কোচিত বীরত্বের পর দুজন দুজনের প্রতি দুর্বল হতে থাকেন। পরের বছরই গাঁটছড়া বাঁধেন। তাদের তিন সন্তান, যাদের অন্যতম একসময়কার সুপার স্টার ‘খলনায়ক’ সঞ্জয় দত্ত। সম্প্রতি তার জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে রনবীর কাপুর অভিনীত বহুল আলোচিত আর ব্যবসাসফল ছবি সঞ্জু। প্রসঙ্গত, নার্গিস ঘটনাচক্রে সুনিল দত্তকে বিয়ে করেন। কিন্তু হিন্দি সিনেমার আরেক লিজেন্ড দিলিপ কুমারের সঙ্গে তার প্রেম ওই সময়ে আলোচিত বিষয় ছিল। ইউসুফ খান ওরফে দিলিপ কুমার বিয়ে করেন নায়িকা সায়রা বানুকে।
সাইফ-অমৃতা: টিনএজ প্রেমের সুপারহিট ছবি বেতাব গার্ল অমৃতার বয়স ৬০ বছর পূরণ হয় গত ফ্রেবুয়ারিতে। বর্তমানে কারিনার বর সাইফ আলি খান ১৯৯১ সালে ২১ বছর বয়সে বিয়ে করেন ৩১ বছর বয়সী হিট-হট নায়িকা অমৃতা সিংকে। সাইফ-অমৃতা দুজনের বয়সের ব্যবধান ছিল ১০ বছরের। ২০০৪ সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। 
এই দম্পতির দুই সন্তান সারা আলি খান আর ইব্রাহিম আলি খান। রোহিত শেঠির ছবি সিম্বা’র মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে সারার।    
বিপাশা-করন: বলিউডের বাঙালি কন্যা বিপাশা বসু ১০ বছর জন আব্রাহামের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম শেষে বিয়ে করেন তার চেয়ে ৩ বছরের ছোট করন সিং গ্রোবারকে। একসঙ্গে অ্যালোন ছবিতে কাজ করতে গিয়ে দুজনের মাঝে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 
লিজ টেলর-ল্যারি: লিজ টেলরের অষ্টম অর্থাৎ সর্বশেষ স্বামী ল্যারি ফর্টেন্সকি তার চেয়ে প্রায় ১৭ বছরের ছোট ছিলেন। নির্মাণ শ্রমিক ল্যারির সঙ্গে লিজের পরিচয় একটি মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্রে। লিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাইকেল জ্যাকসনের স্বপ্নপুরী নেভারল্যান্ডে ১৯৯১ সালে এই জুটি পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। পাঁচ বছর টিকেছিল বিয়েটা। তবে ১৯৯৬ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও ২০১১ সালে লিজ টেলরের মৃত্যু পর্যন্ত তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক টিকে ছিল। লিজ তার অষ্টম স্বামী ল্যারিকে আদর করে ডাকতেন- ‘ল্যারি দ্য লায়ন’ বলে। ‘স্ট্যালিয়ন’ বলেও ডাকতেন। আর লিজ সম্পর্কে ল্যারির মূল্যায়ন ছিল, মনে হতো না যে লিজ বয়সে তার চেয়ে বড়। তার মতে- লিজের নিজেকে নিয়ে একধরনের শিশুসুলভতা ছিল। 
এপি’র ক্যামেরায় লিজ ও ল্যারি          
লিজ টেলরের অস্বাভাবিক সংখ্যায় বিয়ে তথা মাত্রাতিরিক্ত পুরুষ-প্রীতি নিয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে। তবে ১৯৫০ এর দশকের হলিউডি ক্ল্যাসিক সিনেমার অন্যতম আলোচিত এই অভিনেত্রী ১৮ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করেন জগৎখ্যাত হিলটন হোটেলস গ্রুপের উত্তরাধিকারী ২৪ বছর বয়সী কনরাড নিকি হিলটনকে। নিকির মাদকাসক্তি আর নির্যাতনকারী আচরণের জন্য বিয়েটা টিকেছিল মাত্র আট মাস। এরপর লিজ বিয়ে করেন তার চেয়ে বয়সে বিশ বছরের বড় বৃটিশ অভিনেতা মাইকেল ওয়াইল্ডিংকে ১৯৫২ সালে। ১৯৫৭ সালে বিচ্ছেদ হয় তাদের। 
লিজের স্বামীদের তালিকায় আছেন খ্যাতিমান অভিনেতা রিচার্ড বার্টন, মাইকেল টড, এডি ফিশার প্রমুখ। এদের মধ্যে বার্টনকে বিয়ে করেছেন দু’বার। প্রথমবারের বিয়ে টিকেছিল এক যুগ তবে পরেরটা এক বছরের মধ্যেই ডিভোর্সে রূপ নেয়। এর কারণ ছিল লিজের মাদকাসক্তি আর বার্টনের অবিশ্বস্ততা।  
অর্জুন-মেহর: অভিনেতা অর্জুন রামপাল ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন মেহর জেসিয়াকে। বয়সে জেসিয়া ২ বছরের বড় অর্জুনের চেয়ে। যদিও এই জুটি এখন পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন।  
সোহা-কুনাল: সাইফ আলি খানের বোন সোহা আলি খানও বিয়ে করেন তার চেয়ে চার বছরের ছোট কুনাল খেমুকে। ২০১৫ সালে যখন তাদের বিয়ে হয় তখন কুনালের বয়স ছিল ৩৫ বছর আর সোহার ৩৯। 
 
যাহোক, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বয়স গত ১৮ জুলাই হয় ৩৬ বছর আর তার হবু বর নিকের বয়স একই সময়ে ছিল ২৫ বছর। মোদ্দা কথা দুজনের বয়সের ফারাকটা প্রায় ১১ বছরের। 
গত শনিবার মুম্বাইস্থিত প্রিয়াঙ্কার বাসভবনে পূজা-পাঠের সঙ্গে বাগদান ও রোকা (বিয়ের পূর্ববর্তী রসম-রেওয়াজ) সম্পন্ন হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার। তারা এনগেজমেন্ট-এর  ছবি অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইন্সটাগ্রামে পোস্ট দিয়ে ভক্ত অনুসারীদের জানিয়ে দেন সুখবর। সূত্র: উইকিপিডিয়া, মিরর, জাগরন, কালের কণ্ঠ
-----Collected.

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...