Skip to main content

রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন- নিজেকে বুঝুন, নিজেই নিয়ন্ত্রণ করুন আপনার রাগ।

“রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন”-জেনে নিন সহজে রাগ কমানোর ১০ টি উপায়

রাগ সামলানো সহজ কথা নয়, আর সেটা যদি হয় পরিস্থিতির বিপরীতে তাহলে বেশ মুস্কিল। রাগ কমানোর উপায় জানা থাকা মঙ্গল।
জ্যাম এর মাঝে পরে গাড়ির ধোঁয়া গিলছেন? বাচ্চা কথা শুনছেনা বেয়াদবি করছে? অফিসে বসের বকা শুনতে হচ্ছে? সকল পরিস্থিতিতেই আমাদের মানিয়ে চলতে হয়। অতিরিক্ত রাগ কিংবা রাগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পাড়াটাও একসময় আপনার জীবনে দুর্গতি বয়ে আনতে পারে।
মানসিক বা শারীরিক উভয় দিক বিবেচনা করেই আমাদের রাগ সামলাতে হবে।
আসুন জেনে নেই নিচের ১০টি রাগ কমানোর উপায় ঃ

রাগ কমানোর উপায় : ১০টি উপায় জানুন

১। বলার আগে ভাবুন

আপনি আমি আমরা সকলেই কথা বলি। বেচে থাকতে হলে কথা ছাড়া উপায় নেই। বলার আগে একটু ভেবে যদি বলা যায় তাহলে হয়ত অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা হয়। এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে বুঝবো, কোন কথা বলব কি, বলব না?
আসলে বলা যাবে কি যাবে না? ঠিক হবে কি হবে না এইগুলো কথা বলার পরেই বোঝা যায়। কথা বলার আগে বোঝার কোন উপায় নেই।
প্রধান চর্চা হলো কথা বলার আগে একটু বিবেচনা করে নেয়া।
ক্ষণিক বিবেচনা আপনার চিন্তা একটু হলেও নমনীয় করে একটু নরম শব্দ ডেলিভারী দিতে পারে। রাগ কমানোর উপায় হিসেবে এই টিপস অন্যতম।
রাগ কমানোর পপ্রথম ধাপ- বলার আগে ভাবুন

২। রাগ থেমে গেলে নিজের রাগ বিশ্লেষণ করুন

ধরুন ২ জন বন্ধু  মিলে অনেক ঝগড়া করলেন। রাগ থেমে গেলে নিজের রাগ টার কারন চিন্তা করুন এবং বন্ধুর সাথে শেয়ার করুন।
তবে অবশ্যই বন্ধুর রাগ কমে গেলে তারপর নাহলে রাগ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আবার ঝগড়া লেগে যেতে পারে।

৩। শারীরিক কসরত

রাগ থামছেই না? আপনার বুঝতে বাকি নেই খুব খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে? বাইরে বের হয়ে একটু হেটে আসুন।
নিরমল বাতাস, আশেপাশের অনেক কিছু আপনার মন কে অন্য লেভেল এ নিয়ে যেতে পারে। নিমিষেই ভূলে যেতে পারেন প্রবল রাগ।
রাগ কমাতে একটু হেটে আসুন

৪। কিছু সময় নিজের জন্যে

সারাদিন পরিশ্রমের পর নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন। নিরিবিলি কিছু সময়ের চিন্তা আপনার মস্তিষ্ককে দিতে পারে অনেকটা প্রাণ।
এটা করতে পারেন কাজের শেষে অফিসে বসেই অথবা বাসায় ফিরে আপনার প্রিয় রুমের কোণাটায়।

৫। কারন নয় উপায় চিহ্নিত করুন

কোন কারনে আপনি রেগে গেলেন সেটা বিবেচনা না করে, কি করলে রাগ কমবে সেটা চিন্তা করাটা শ্রেয়। আপনার সন্তান প্রিয় কাচের গ্লাসটি ভেঙে ফেলেছে? সন্তান কিভাবে করলো সেটা না ভেবে আগে ভাবুন কিভাবে কাঁচের টুকরো গুলো ফ্লোর থেকে সরাবেন? সেই কাঁচের টুকরো আপনার সন্তানের ক্ষতিই করতে পারে সবার আগে।

৬। নিজের ইগো বুঝুন

মানুষ মানেই সকলের ইগো বলতে একটা ব্যাপার থাকে। ইগোর কারনে নিজের দোষ যদি স্বীকার করতে না চান তাহলে রাগ ভীতরে ভীতরে বাড়তে থাকবে। ইগো কে গুলি মারুন। নিজের দোষ থাকলে অকপটে বলে ফেলুন দেখবেন রাগ ধুয়ে পানি হয়ে গেছে।

৭। ভারিক্কি চাল পরিহার করুন

নিজের ভার রাখতে হয় নাহলে চলা দায়। কথায় আছে, হাতী গর্তে পড়লে পিপীলিকাও ভাব মারে। তাই বলে সর্বদা গ্রেভিটি নিয়ে চলা আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে।
স্বার্থ ত্যাগ করা, অল্পতেই ক্ষমা করে দেয়া আপনার চারিত্রিক গুনাবলি যেমন বাড়াবে তেমনি আপনার রাগ ও আয়ত্তে আনবে।

৮। হেসে কৌতুক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুন

যখন বুঝতে পারছেন আপনার রাগ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে, অযথাই হেসে ফেলুন।
দেখবেন আপনার বিপরীতে যিনি আছেন তিনিও যোগ দেবেন হাসিতে। হাসি একটা ভয়ংকর সংক্রামক ব্যাপার। একবার প্রয়োগ করেই দেখুন!!!

কৈতুক করে রাগ কমানো

৯। কিছু ঐতিহাসিক প্রেক্টিস

অনেক আগে থেকেই শুনে আসছেন হয়তো কিছু আজব কাজ। যেমন, ১০০ থেকে উলটো গোণা, জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেয়া, মনে মনে বলা ‘Cool Down, Cool Down’ ‘easy, easy’ ইত্যাদি।
এইগুলো যদি কোন কাজ করেনা বলে মনে করেন তাহলে অন্তত এটা ভাবুন আপনার মন চিন্তা ক্ষণিকের জন্যে হলেও অন্য কিছু নিয়ে বিচলিত ছিলো।

১০। সঙ্গীত শুনুন বা করুন

নিয়মিত সঙ্গীত করা বা শোনা মানসিক দিক দিয়ে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে অন্য রকম ভুবনে। সঙ্গীত সর্বদাই মনকে করে কোমল এবং আবেগী যা রাগ অভিমানের বিপরীত।
রাগ কমানোর উপায়-সঙ্গীত শোনা

রাগ নিয়ন্ত্রনে একদিনেই আসেনা। রাগ কমানোর উপায় গুলো দীর্ঘ প্রচেষ্টা এবং নিয়মিত চর্চা আপনার রাগ আয়ত্তে আনতে সহয়তা করবে।
মনে রাখবেন রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। রেগে না গেলে যে আপনি জিতে যাবেন তাও নয়, অন্তত নিজের মনকে বোঝাতে পারবেন হেরে তো যাননি!!!
তথ্যসূত্র ঃ ওইকিপিডিয়া
ছবি ঃ গুগল
------ সংগৃহীত।

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...