Skip to main content

সত্যিকার ভুতের ঘটনা!!!

এটা কিন্তু মিথ্যা ভূতের গল্প নয়। সত্যি ঘটনা।

আমরা সার্জিক্যাল মাস্কের কথা সবাই জানি। এটা সাধারণতঃ চিকিৎসকরা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু জাপানের কথা একটু আলাদা। এখানকার সাধারণ মানুষরা কারণে অকারণে মাস্ক পড়ে ঘুরে বেড়ায়।
ঠিক সেরকমই ১৯৭৯ সালের দিকে হঠাৎ টোকিওর রাস্তায় মাঝে মাঝে মাস্ক পড়ে এক মেয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। আর মাস্ক পড়া সেই মেয়েটা যখন তখন বাচ্চাদের পথ আগলে ধরত। হঠাৎই কোন বাচ্চার পথ আগলে ধরে তারপর জিজ্ঞাসা করত, “আমাকে কি খুব সুন্দর লাগছে?”
বাচ্চাটা উত্তর দেবার আগেই সে তার মাস্কটা খুলে ফেলত, তারপর চেঁচিয়ে বলত, “এবার দেখে বল, আমাকে সুন্দর লাগছে কি না?”
তার মুখটা দেখে কেউ যদি বলত, “না” তাহলে সে ক্ষেপে গিয়ে বের করত বিশাল এক কাঁচি। তারপর সেটা দিয়ে বাচ্চাটার মাথায় আঘাত করে করে মেরে ফেলত।
আর যদি বাচ্চাটা বলে, “হ্যাঁ” তবে সে তার বড় কাঁচি দিয়ে বাচ্চাটার মুখ কান পর্যন্ত কেটে দিত।
একমাত্র বাঁচার উপায় হল- এই মেয়েকে কনফিউজড করে দেয়া । সে যদি বলে, “আমাক কি সুন্দর লাগছে?” তাহলে বলতে হবে, তোমাকে খুব সাধারণ একটা মেয়ের মত লাগছে অথবা তুমিই বল, ‘তোমাকে কেমন লাগছে?’ একমাত্র কনফিউজড করলেই বাচ্চারা পালানোর জন্য অনেক সময় পেত।
এই ঘটনার পর পুলিশ রাস্তায় টহল বাড়িয়ে দেয়, বাচ্চাদের এক সাথে লাইন ধরে স্কুলে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই মেয়েটাকে জাপানিজরা বলে কুচি-সাকে- অননা (কাটামুখো মেয়ে)।
এই মেয়েকে নিয়ে দুটো গল্প প্রচলিত আছে।
বলা হয়, কয়েকশ বছর আগে এক বদরাগী সন্দেহপ্রবণ সামুরাই তার অতীব সুন্দরী স্ত্রীকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে এভাবে মুখ কেটে দেয়।
একটি পুরোনো রিপোর্টে দেখা যায়, ১৯৭০ দিকেও একবার এই কাটামুখো মেয়ে বের হয়েছিল, এক সুন্দরী মেয়ে রোড এ্যাক্সিডেন্ট করে মারা যায়। মারা যাবার পর দেখা গিয়েছিল, তার মুখটা দারুণ ভাবে কেটে গেছে। তারপর থেকে তার অশরীরী আত্মা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়।
২০০৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়াতেও এই আতম্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন দক্ষিন কোরিয়ার রাস্তায় লাল মাস্ক পড়ে এক মেয়ে, শিশুদের খোঁজে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো।

---------সংগৃহীত।

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...