Skip to main content

বিবাহ ও ডিভোর্স : ‘ডিভোর্স’ খারাপ না ‘বিবাহ’ টাই খারাপ! জেনে রাখা ভালো

বিবাহ ও ডিভোর্স

বিবাহ ও ডিভোর্স : ‘ডিভোর্স’ খারাপ না ‘বিবাহ’ টাই খারাপ! জেনে রাখা ভালো


বিবাহ ও ডিভোর্স অন্যতম প্রধান কারন বিয়ে, যেহেতু ডিভোর্স হতে হলে তার আগে বিয়ের দরকার পরে।
বিয়ে না হলেতো নিশ্চই আর ডিভোর্স এর চান্স নাই।
বিয়ে নামক এই কাগজ কলমের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক আসোলে একটা অমানবিক ব্যাপার।
এর মাধ্যমে সব কিছুর উপরে দায়বদ্ধতাকে মুখ্য হিসেবে দেখানি হয়, অন্যান্য ব্যাক্তিগত আবেগ এখানে গৌন।

বিবাহ ও ডিভোর্স – কোনটি খারাপ

২.৫ মিলয়ন বছরের মানবজাতির ইতিহাসে ব্যাক্তিগতভাবে দুজন নারী পুরুষের একসাথে থাকার ইতিহাস মাত্র ৫০০০ বছরের।
কাগজে কলমে কলমা পইড়া বিয়ের ইতিহাসতো সেইদিনের অর্থাৎ বিয়ের মাধ্যমে সংসার নামক এই প্রাতিষ্ঠানের উৎপত্তি তারো অনেক পরে।
বিয়ে আগেও ছিলোনা পরেও থাকবেনা। এসব নিয়ে এতো উদ্বিগ্ন হওনের কিছু নাই। ডিভোর্সটা খারাপ নাকি বিয়েই খারাপ!
বিবাহ ও ডিভোর্স কোনটি খারাপ
যে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পিতামাতার কাছ থেকে মানুষ পায় তা যদি রাষ্ট্রই দিতে পারে তবে বিয়ে প্রথার আর তেমন কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
প্রাচীন যুগে মানুষ বিয়ে ব্যাতিতই সামাজিক ভাবে সন্তান উৎপাদন করছে এবং প্রতিটি সন্তান সেই গোষ্ঠির সম্পদ হিসেবেই সমান যত্নে বেড়ে উঠছে, এমনকি মধ্য যুগেও অনেক অঞ্চলে অনেক গোষ্টির মাঝে এই ব্যাবস্থা দেখা গেছে।
কিন্তু এখন বিয়ে প্রথার মাধ্যমে মানুষকে সামাজিক বন্ধনের বদলে পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ করা হচ্ছে, যা ব্যাক্তিকে আরো বেশি ব্যাক্তিগত করে দিচ্ছে তার ফলে মানুষ অস্থির পুঁজিবাদী প্রতিযোগিতায় নামতে বাধ্য হচ্ছে।

বিবাহ ও ডিভোর্স কেন হয়

যেখানে মানুষের ব্যাক্তিগত স্বামী স্ত্রী আছে সেখানে ব্যাক্তিগত সম্পদের চাহিদা থাকাই স্বাভাবিক।
বিয়ের উৎপত্তিই হয়েছে ব্যাক্তিগত সম্পদ টিকিয়ে রাখা এবং এই সম্পদের উত্তরাধিকার তৈরির উদ্দ্যেশ্যে। তাই এর প্রক্রিয়াই একটা হিপোক্রেসি।
ট্রাইবের সম্পদ যখন ব্যাক্তি পাওয়ার পলিটিক্স এর মাধ্যমে লুন্ঠন করে ভোগদখল শুরু করছে তখনই এই সামন্ত প্রথার উদ্ভব।
বিবাহ নাকি ডিভোর্স
বিয়ে প্রথা যতোদিন পর্যন্ত এতো গুরুত্বপূর্ন থাকবে ততোদিন পুঁজিবাদী সংস্কৃতির অস্থির এই ভোগবাদি প্রবণতা কাটিয়ে উঠে শ্রেণীহীন সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা শুধুই হয়তো কাল্পনিক!!!
আর বিয়ে প্রথার বিরোধিতার ক্ষেত্রে নারীমুক্তি পয়েন্টটাও ইম্পর্টেন্ট।
সকল সামজিক এবং অর্থনৈতিক সুবিধা পেলেও একজন নারীকে কেন গভীর রাত তুরি খাবার নিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসে থাকতে হবে, ঘুম ঘুম চোখে লিপিস্টিক, স্নো পাওডার মেখে খাটে চড়বে! অথবা কেন শুধুমাত্র কিছু সুবিধা প্রাপ্তির বিনিময়ে তাকে বিয়ের মাধ্যমে পুরুষের পার্পাস সার্ভ করতে হবে!
------সংগৃহীত।

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...