Skip to main content

যেন এক পিশাচিনী, ভক্ষণ করেছেন ৩০ জন মানুষের মাংস!

যেন এক পিশাচিনী, ভক্ষণ করেছেন ৩০ জন মানুষের মাংস!

সংগৃহীত-  27 সেপ্টেম্বর, 2018 10:06


যেন এক পিশাচিনী, ভক্ষণ করেছেন ৩০ জন মানুষের মাংস!
নাটালিয়া (ডানে) এবং দিমিত্রি বাকশেভ

স্বজাতিকে ভোগ করার প্রবণতা নিয়ে বহু দিন ধরে ব্যাপক গবেষণা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাণীজগতে এমন উদাহরণ দেখা যায়। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে 'ক্যানিবালিজম' এক রোমহর্ষক বিষয়। ইতিহাসে এমন বেশ কিছু উদাহরণ রয়েছে যখন একজন মানুষ অন্য মানুষকে ভক্ষণের অভ্যাস গড়ে তোলে। এখানে তেমনই এক ভয়ংকর নারীর গল্প উঠে এসেছে এখানে। 
৪৩ বছর বয়স নাটালিয়া বাকশিভার। ধারণা করা হচ্ছে, এই নারী অন্তত ৩০ জন মানুষ ভক্ষণ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি তার স্বামীকেও এক ওয়েট্রেসকে হত্যা করতে বাধ্য করেছেন। নাটালিয়ার বাড়ির রান্নাঘরে পুলিশ খুঁজে পেয়েছে মানবদেহের অবশিষ্টাংশ। দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৫ বছরের জেল হতে পারে। 
গা শিউরানো এমন অনেক জিনিস খুঁজে পাওয়া গেছে নাটালিয়ার বাড়িতে। একটি বয়ামে মানুষের ত্বকের আঁচারও মিলেছে। সেখানে ১৯ পিস ত্বক পাওয়া গেছে। নাটালিয়া তার স্বামীকে এক ওয়েট্রেসকেও হত্যা করতে বাধ্য করেন। তার ধারণা ছিল ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছেন। 
তদন্তে জানা গেছে, তার স্বামী ওই নারীকে হত্যার পর নাটালিয়া তার দেহের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন এবং প্রতিটি অংশ নিয়ে সেলফি তোলেন। রিপোর্টে বলা হয়, গত ৩০ বছরের মধ্যে এই নারী ৩০ জন মানুষের মাংস খেয়েছেন। 
শিকারের বেশিভাগই নারী। অনলাইন ডেটিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে এই দম্পতি। ১৯৯৯ সালে তোলা এক ছবিতে দেখা যায়, ডিনারের টেবিলে মানুষের বিচ্ছিন্ন মাথা পরিবেশন করা হয়েছে। ওটাকে সাজানো হয়েছে কমলা দিয়ে। 
এসব গা গোলানো ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
সূত্র: ডেকান ক্রনিকল 

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...