Skip to main content

যে 9টি খাবার কাঁচা খেলে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে!

যে ৯টি খাবার কাঁচা খেলে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে

সংগৃহীত-  
27 সেপ্টেম্বর, ২০১৮ 08:52


যে ৯টি খাবার কাঁচা খেলে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে
সেই আদিম কাল থেকেই মানুষেরা কিছু খাবার রান্না করে খেতে শুরু করে। যাতে সেগুলো আরো বেশি সুস্বাদু হয় বা সহজে হজম করা যায়। যেমন, মাংস।
তবে, আদিমকালের মতোই আজও আমরা কিছু খাবার নিয়মিতভাবেই কাঁচা খাই। এই খাবারগুলোকে আমরা রান্নাও করি না, ভাজিও না, আগুনে সেঁকও দেই না বা সেদ্ধও করি না।
কিন্তু কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো রান্না, ভাজা, সেঁকা বা সেদ্ধ করা ছাড়া খেলে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৯টি খাদ্য সম্পর্কে যেগুলো কখনোই কাঁচা খাওয়া উচিত নয়।
১. আলু
আমাদের অনেকেই শসা এবং টমেটোর মতো অনেক সবজিই কাঁচা খাই। তাই না? আলুও তেমনই একটি সবজি যেটি কাঁচা খাওয়া হয়। বেশ কিছু সংখ্যক তরকারি এবং স্ন্যাকস তৈরিতে ব্যবহৃত হওয়া জনপ্রিয় একটি সবজি আলু। কিন্তু আলু কাঁচা খেলে পেটে গ্যাস সৃষ্টি, হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা, মাথা ব্যথা এবং বমির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেননা আলুতে আছে সোলানিন নামের একটি ট্রক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ। সেদ্ধ, সেঁকা বা রান্না করে খাওয়াই আলু খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়।
২. শিম
শিম কাঁচা খেলে বমিভাব, বমি, হজম প্রক্রিয়ায় গণ্ডগোল এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ এতে এমন একটি এনজাইম আছে যেটি এসব সমস্যা তৈরি করে। আর রান্না করার আগে শীম পানিতে কিছুটা সময় ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর মাধ্যমে তা খাওয়া আরো নিরাপদ হয়ে উঠবে।
৩. মধু
আমরা আজকাল দোকান থেকে যেসব মধু কিনি সেসবের বেশিরভাগই পাস্তরিত। সুতরাং তা কাঁচা খাওয়াতে কোনো বিপদ নেই। তবে যারা নানা ধরনের অর্গ্যানিক বা প্রাকৃতিক মধু খান তাদেরকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। কেননা অর্গ্যানিক মধু পাস্তুরিত করা হয়নি। ফলে তাতে কোনো বিষাক্ত পদার্থ থেকে যেতে পারে। অপাস্তুরিত মধুতে গ্রায়ানোটক্সিন নামের এনজাইম আছে যেটি খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বা ঝিমুনির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৪. দুধ
দোকান থেকে কেনা পাস্তুরিত দুধ সেদ্ধ না করেও খাওয়া যেতে পারে। তবে অনেকে গরুর দেহ থেকে সরাসরি সংগৃহীত দুধও সেদ্ধ না করেই খেয়ে ফেলতে চান। যা একদমই নিরাপদ নয়। সদ্য গরু থেকে সংগৃহীত কাঁচা দুধে থাক ই কোলাই, স্যালমোনেলা এর মতো জীবাণু। যা মানুষের দেহে মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে।
৫. ব্রোকোলি
বেশিরভাগ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ তাদের সালাদের সঙ্গে বা খাবারে কাঁচা ব্রোকোলি যোগ করতে চান। তাই না? ব্রোকোলি এমন একটি সবজি যাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান আছে। এবং এর স্বাস্থ্যগত উপকারীতাও অনেক। তথাপি ব্রোকোলিতে আছে এমন কিছু সুগার যা সহজে হজম করা যায় না। এবং হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। রান্না করে খেলে ব্রোকোলির এই সুগার সহজেই হজম করা যায়।
৬. জলপাই
সবুজ হোক আর কালো বেশিরভাগ মানুষই জলপাই পছন্দ করেন। কিন্তু কাঁচা জলপাই খেলে তা মারাত্মক কোনো বিপদও ডেকে আনতে পারে। কারণ এতে আছে অলিউরোপেইন (oleuropein) নামের একটি উপাদান যা খাদ্যে তীব্র বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
৭. মাশরুম
ছত্রাকজাতীয় উদ্ভিদ হওয়ায় মাশরুমে এমন সব ক্ষতিকর জীবাণু থাকাতে পারে যেগুলো হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এবং খাদ্যে মারাত্মক বিষক্রিয়া করতে পারে। সুতরাং মাশরুম কাঁচা না খাওয়াই ভালো।
৮. মাংস
এমন অনেকে আছেন যারা সালাদে এবং অন্য কোনো ঠাণ্ডা খাবারে কাঁচা মাংস যোগ করে খান। কিন্তু এই অভ্যাস মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর। কেননা কাঁচা মাংসে থাকে ফিতা কৃমির জীবাণু। এই পরজীবি প্রাণিটি মানুষের দেহে বাসা বেঁধে মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করার পাশাপাশি মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
৯. ডিম
এমন অনেকে আছেন যারা কাঁচা ডিম খান বা ডিমের কাঁচা কুসুম কোনো খাবারে বিশেষ ফ্লেভার যুক্ত করার জন্য মেশান। কিন্তু এটিও স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ ডিমের কাঁচা কুসুমে আছে স্যালমোনেলা এবং এমন অন্যান্য জীবাণু। যা থেকে হতে পারে নানা মারাত্মক রোগ।

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...