Skip to main content

মানবদেহঃ আসুন নিজের সম্পর্কে জানি


মানব দেহঃ আসুন নিজের সম্পর্কে জানি।



By- Kolpotara
সেপ্টেম্বর 26, 2018

মানব দেহঃ

মানব দেহ দেখতে সরল মনে হলেও এর রয়েছে অনেক অদ্ভুত ও জটিল রহস্য। আজ আমরা জানব তেমনি কিছু অদ্ভুত তথ্য।

মানব দেহ
মানব দেহ

মস্তিস্কঃ

  • মস্তিস্ক থেকে স্নায়ু তে তথ্য সেকেন্ডে ১৭০ মাইল এর ও বেশী বেগে প্রবাহিত হয়।
  • মস্তিস্ক ১০ ওয়াট বাল্বের সমান পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করে।
  • রক্তে মিশ্রিত ২০% অক্সিজেন ব্যবহার করে।
  • মস্তিস্ক দিনের তুলনায় রাতে বেশি কাজ করে।
  • বিজ্ঞানীরা মনে করেন যারা যত বেশি স্বপ্ন দেখে তাদের IQ তত ভালো। এতে চিন্তিত হবার কারন নেই।অধিকাংশ মানুষ স্বপ্নের কথা ভুলে যায়।
  •  কখন কোথায় ব্যাথা পেলাম সব ই মস্তিস্ক বলে দেয়। কিন্তু নিজে ব্যাথা অনুভব করেনা।
  • আমাদের মস্তিস্কের শতকরা ৮০ ভাগ হচ্ছে পানি।
  • আমাদের মস্তিষ্ক দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি সক্রিয় থাকে।

মানব দেহের  বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ
মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ

চুল এবং নখঃ

  • আমাদের শরীরের অন্য যে কোনো অংশের তুলনায় আমাদের মুখের লোম বা দাঁড়ি দ্রুত বড় হয়।
  • মেয়েদের চুলের ব্যাস ছেলেদের চুলের অর্ধেক। অর্থাৎ, ছেলেদের চুল মেয়েদের চুলের তুলনায় ২ গুণ মোটা।
  • আমরা যদিও দেখি প্রতিদিন আমাদের অনেক চুল ঝরে যায়, তবুও মানবদেহের একটি চুল গড়ে ৩ থেকে ৭ বছর টিকে থাকে।
  • আমাদের ৫ আঙ্গুলের মধ্য মাঝের আঙ্গুল অর্থাৎ মধ্যমার নখ দ্রুত বাড়ে।
  • পায়ের নখের চেয়ে হাতের নখ দ্রুত বাড়ে। কমপক্ষে ৪ গুণ।
অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গঃ
  • আমাদের দেহের সবচেয়ে লম্বা অঙ্গ হল আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্র। যদিও নাম শুনে উল্টা মনে হয়।
  • হৃদপিন্ড রক্ত সঞ্চালনের জন্য যে চাপ দেয় তাতে ৩০ ফিট দূরে রক্ত যেতে পারবে।
  • মহিলাদের হৃদস্পন্দন পুরুষদের চেতে দ্রুত।
  • মহিলারা পুরুষের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি চোখের পলক ফেলে।
  • আমাদের ডান ফুসফুসের চেয়ে বাম ফুসফুস আকারে ছোট।
  • আমাদের পাকস্থলীতে যে হাইড্রোক্লোরিক এসিড পাওয়া যায় তা ধাতু গলাতেও সক্ষম।
  • বিজ্ঞানীরা এই পর্যন্ত লিভারের প্রায় ৫০০ রকমের কাজ খুঁজে বের করেছেন।
  • আমরা আমাদের বৃহদান্তের বেশ কিছু অংশ ফেলে দিয়েও বেঁচে থাকতে পারব।
  • আমাদের শরীরের সব রক্তনালীকে যদি জোড়া লাগানো হয় সেটা দৈর্ঘ্যে আনুমানিক ৬০০০০ মাইল এর মত হবে। আর পৃথিবীর চারপাশে একবার ঘুরে আসার দূরত্ব হল ২৫০০০ মাইল এর মত। তার মানে কোনো মানুষের সব রক্তনালীকে জোড়া লাগালে পুরো পৃথিবী ২ বার পেঁচিয়ে নেয়া যাবে।
  • একজন মানুষ সারাজীবন যে পরিমাণ লালা ক্ষরণ করে তা দিয়ে অনায়াসেই দুইটি মাঝারি সাইজের সুইমিং পুল ভর্তি করে ফেলা যাবে।
  • আমাদের জন্মের ৬ মাস আগে থেকেই আমাদের দাঁত উঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যদিও সেটা মাড়ির বাইরে আসতে আসতে আমাদের বয়স প্রায় ১ বছর হয়ে যায়।
  • গড়ে প্রতি ২০০০ শিশুর মধ্যে একজন শিশুর জন্মের সময় দাঁত থাকে।
  • একটি ভ্রূণ গর্ভে আসার ৩ মাসের মাথায় ই তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি হয়ে যায়।
  • অনেক বেশি খেয়ে ফেললে দেখবেন আপনি কানে একটু কম শুনছেন।
আশা করি কিছু জিনিস হলেও জানাতে পেরেছি আপনাদের। অন্য কোনো লিখায় আরো এমন তথ্য নিয়ে হাজির হব শীঘ্রই।
------------Collected.
আরও পড়ুন-
মানবমনঃ হাজার রহস্যের ধূম্রজাল- https://wowmizing.blogspot.com/2018/09/blog-post_3.htm

লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...