Skip to main content

আঙুল ছুঁলেই বুঝে যাবেন হার্টের রোগে আক্রান্ত কি না!

আঙুল ছুঁলেই বুঝে যাবেন হার্টের রোগে আক্রান্ত কি না!

সংগৃহীত-   27 সেপ্টেম্বর, 2018 09:34


আঙুল ছুঁলেই বুঝে যাবেন হার্টের রোগে আক্রান্ত কি না!
আপনার হার্ট ঠিক মতো কাজ করছে কিনা জানতে একটা সহজ পদ্ধতি আছে। কী সেই পদ্ধতি জানেন? একবার চেষ্টা করে দেখুন তো আপনার হাতের আঙুল পায়ের পাতা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে কি না? এমনটা করার মাধ্যমেই কিন্তু আপনি বুঝে যেতে পারবেন আপনার হার্ট অসুস্থ কি না। মানে! কীভাবে এমনটা সম্ভব?
একাধিক গবেষণাতেও একথা প্রমাণিত হয়েছে যে পায়ের আঙুল ছোঁয়ার মাধ্যমে হার্টের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব। তাই এই নিয়ে কোনও বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই যে এই পদ্ধতি বাস্তবিকই কার্যকরী। আসলে এই সব স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরের সঙ্গে আর্টারির ইলাস্ট্রিসিটির একটা যোগ রয়েছে। তাই তো যারা পায়ের পাতা বা আঙুল ছুঁতে পারেন না, তাদের ব্লাড ভেসেল খুব স্টিফ হয়। ফলে এমন মানুষদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অন্যদের থেকে বেশি থাকে। কিছু ক্ষেত্রে তো এমন মানুষদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও থাকে। তাই যদি দেখেন আপনি পায়ের আঙুল ছুঁতে পারছেন না, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরমার্শ নেবেন। অপরদিকে যারা সোজা দাঁড়িয়ে হাত দুটি উপরে থেকে একেবারে নিচে এনে পায়ের আঙুল ছুঁতে পারেন তাদের হার্টের স্বাস্থ্য যে বেজায় ভাল সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

ধাপ ১ : মাটিতে বসে নিয়ে পা দুটি সামনের দিকে সোজা করে রাখুন। যেমনটা উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে। 
ধাপ ২ : খেয়াল করবেন পায়ের আঙুলগুলি যেন ভাঁজ হয়ে না থাকে। 
ধাপ ৩ : এবার চেষ্টা করুন পায়ের আঙুলগুলি ছোঁয়ার। ঠিক যেভাবে নিচের ছবিতে দেখান হয়েছে সেভাবে। পারলেন ছুঁতে? 

ধাপ ৪ : যদি আঙুল ছুঁতে পারেন তাহলে বুঝবেন আপনার হার্ট একেবারে চাঙ্গা আছে। 
ধাপ ৫ : আর যদি না পারেন। তাহলে বুঝবেন আপনার ব্লাড ভেসেলগুলি ফ্লেক্সিবেল বা নমনীয় নয়। যে কারণে আপনি পায়ের আঙুল ছুতে পারছেন না। এমনটা হলে যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
ধাপ ৬ : ব্লাড ভেসেল যদি নমনীয় না হয় তাহলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। 
ধাপ ৭ : তবে অনয়নীয় ব্লাড ভেসেল মানেই আপনার হার্টের রোগ আছে, এমনও নয় কিন্তু! আপনার বয়স কত, কোনও ধরনের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ, যেমন-উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টরল প্রভৃতি রোগে আপনি আক্রান্ত কিনা, ওজন স্বাভাবিক আছে কিনা, জীবনযাত্রা কেমন এই সব নানা ফ্যাক্টর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 
ধাপ ৮ : এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরমর্শ নেওয়াই সব থেকে নিরাপদ। কারণ তিনি প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা করে আপনাকে বলে দিতে পারেন বাস্তবিকই আপনার হার্টে কোনও সমস্যা আছে কিনা।
- ওয়েবসাইট

Popular posts from this blog

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার (Dark Matter)!!

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার(Dark matter) ! লিখেছেন : হিমাংশু কর সেপ্টেম্বর 26, 2018 সৃষ্টিতত্ত (cosmology) ও মহাবিশ্বের দুরতম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানতে পেরেছি।এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হল আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা।এ ছাড়াও আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারনেও আমরা এ সকল অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এখনো ভাল মত জানি না।তবে আমাদের অর্জন ও কম না।আমরা ইতিমধেই আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ অভিযান এর জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছি।এও বা কম কি?তবে যাই হোক সে আলোচনা আর বাড়াবো না।এবার আমরা লক্ষ করব গ্যালাক্সিগুলোর দিকে।নিউটনের মহাকর্ষ বলের( gravitational force ) সুত্রগুলি যদি আমারা গ্যালাক্সিগুলোর উপর প্রয়োগ করি , তাহলে দেখা যাবে যে, গ্যালাক্সিগুলোর চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরার কথা।কিন্তু আমরা জানি গ্যালাক্সি বা তারকাপুঞ্জের ভেতরের বস্তুগুল একটি কেন্দ্রিয় বিন্দুর উপর নির্ভর করে ঘুরতেছে।কারন তাদের পারস্পারিক আকর্ষণ এক ধরনের কন্দ্রাতিক(centripetal) শক্তির সৃষ্টি করে থাকে।অবাক হবার কথা হল হিসাব করে দেখা গেছে এ ধরনের ঘূর্ণন সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত বস্তু এসব গ্যালাক্সিগুলোর নেই।এই ব্যাপারটি ১৯৭০ এর দশকে ওয়াশিংটন ডি...

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্

বাঘ ও হরিণ: শিক্ষামূলক গল্প - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - এক বনে ছিল এক হিংস্র বাঘ। সে যেকোনো প্রাণীকে দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তো। কাউকে সে মানতো না। একদিন এক নিরীহ হরিণ সেই বাঘের কবলে পড়লো। হরিণটা অনেক যুদ্ধ করেও পালাতে পারলো না। বাঘ মাত্র ওকে সুবিধামতো কামড় বসাবে। এমন সময় হরিণের মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। হরিণ বলল, “ওহে বাঘ। তুমিতো সবাইকেই খাও। আমায় না হয় ছেড়ে দাও। আমার মাংস খেলে তোমার একটুও পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেকগুলো গরু দিবো। তা দিয়ে এক মাস চলে যাবে তোমার।” বাঘ কথাটা শুনে ভেবে দেখল কথাটাতো মন্দ না। তাই সে হরিণটাকে ছেড়ে দিল। পরে হরিণ চলে গেল সেখান থেকে। আর বাঘ তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু চালাক হরিণকে আর পায় কে? হরিণতো তার উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জীবনে রক্ষা পেল। তাই গায়ের জোর না থাকলেও বুদ্ধির জোর সবচেয়ে দামি। এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা নিতে পারি: 1। কাউকে সহজেই বিশ্বাস করা ঠিক না। সহজেই বিশ্বাস করাটা বোকামি। 2। বিপদে পড়লে ভয় না পেয়ে বরং ভয়টাকে জয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 3। গায়ের শক্তি না থাকলেও বুদ্ধির জোর দিয়ে ...

বাসর রাত- ভালোবাসার গল্প

বাসর রাত সেপ্টেম্বর 25, 2018 গল্প লিখেছেন :  কাল্পনিক বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর’ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি?’ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল’ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘তোমার নামটা যেন কি?’ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন “এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না।’ নববধূ ‘ইরা’ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল। . আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছ...